মোরা’র আঘাতে পেকুয়ায় এক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

মোরা’র আঘাতে পেকুয়ায় এক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত 1ইমরান হোসাইন, পেকুয়া : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উপকূলে আঘাত হানায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেকুয়া উপজেলায়। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার কাচা, আধাপাকা ঘরবাড়ি। উপড়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি গাছ। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ও তার ছিড়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়া প্রচন্ড বাতাসের কারণে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে মারা গেছে উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর এলাকার মোজাম্মেল হকের পুত্র আব্দুল হাকিম (৪০)।

মঙ্গলবার সকাল থেকে মোরা’র তান্ডব শুরু হয়। এতে পেকুয়া সদর ইউনিয়নসহ উপকূলীয় তিন ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রায় টানা তিন ঘন্টার তান্ডবে মগনামা, উজানটিয়া ও রাজাখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার এক হাজার কাঁচা, আধাপাকা ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটির ঘর ভেঙ্গে আহত হয়েছেন ১৮-২০জন ব্যক্তি।

পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সর্বমোট ১৩টি খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। ৪০-৪৫ স্পটে ছিড়েছে তার। বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের পড়ে রয়েছে অহরহ গাছ। এছাড়া ৩৩ কেভি লাইনে ভেঙ্গেছে আরো ১৩টি খুটি। তাই পুনরায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন চালু করতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে।

পেকুয়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, আমাদের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। আর আমরা তাদের প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছি ও নির্দেশনা দিচ্ছি।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম বলেন, ৮টি মেডিক্যাল টিম মাঠ পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় আত্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। আমরা তা উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে তদারকি করছি। এছাড়া উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আত্রান্তদের প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানী ও সকল প্রকার যানবাহন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!