মোছলেমের আসনে নাছিরের শক্তি ‘ক্লিন ইমেজ’, ছালামের গলায় ‘ওয়ান ইলেভেনে’র কাঁটা

চট্টগ্রাম-৮ আসনের ভোটার শহরেই ৬৫ শতাংশ

ঘুরেফিরে আবারও আলোচনায় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের নির্বাচন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই আসনে মাত্র ৪ বছর ১ মাসে মারা যান দুজন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে মাঈনুদ্দিন খান বাদল মহাজোটের এবং মোছলেম উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ওয়ান ইলেভেনের পর এক শোভাযাত্রায় ‘দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ শ্লোগান দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে গেলে সেটাও হিসাবে আসতে পারে— এমন বলছেন অনেকেই।
সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম ওয়ান ইলেভেনের পর এক শোভাযাত্রায় ‘দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ শ্লোগান দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে গেলে সেটাও হিসাবে আসতে পারে— এমন বলছেন অনেকেই।

বলা যায়, এই আসনে এবারের উপনির্বাচনসহ ৪ বছর ৩ মাসের ব্যবধানে জাতীয় সাংসদ নির্বাচন হচ্ছে ৩ বার।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাঈনুদ্দিন খান বাদল। ওই নির্বাচনের পর মাত্র ১১ মাস ৭ দিনের মাথায় ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর মাঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

এরপর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ (নৌকা) নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে তিনি ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট পান।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ৩ বছর ২৩ দিনের মাথায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান চট্টগ্রামের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি। এতে আবারও শূন্য হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি।

এর মধ্যেই শুরু হয়েছে এই আসনে এবারের প্রার্থী কে হচ্ছেন। চট্টগ্রাম নগর ও জেলাজুড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মূলত চট্টগ্রাম-৮ আসনটি ভোটের হিসেব-নিকেশে চট্টগ্রাম নগরীর ভোটারই সবচেয়ে বেশি।

নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনে চট্টগ্রাম নগরীর ভোটার সংখ্যা কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ। ভোটারের ব্যবধানে বোয়ালখালী পিছিয়ে থাকলেও ১৪ দলীয় মহাজোট টেকাতেই মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাসদের প্রয়াত নেতা সাংসদ মাঈনুদ্দিন খান বাদল। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জ্যেষ্ঠতায় মনোনয়ন পেয়ে মূল্যায়িত হন প্রয়াত সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। যদিও সাংসদ বাদলের মৃত্যুর পর এই আসনে তার স্ত্রী মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

এবার এই আসনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম। শোনা যাচ্ছে, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চুর নামও।

বোয়ালখালী উপজেলার আরও কয়েকজন নেতার নাম শোনা গেলেও রাজনীতিতে সক্রিয় এবং জ্যেষ্ঠতায় তারা অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন নগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত করতে মরিয়া ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ওই নির্বাচনে মাসখানেকেরও বেশি সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদের সঙ্গে দিন-রাত বোয়ালখালী উপজেলা এবং নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকায় প্রচারণার মাঠ চষে বেড়ান আ জ ম নাছির উদ্দিন। এই আসনে নগরী পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও এলাকায় বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে নাছিরের।

জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালীনও তিনি চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকায় বেশ উন্নয়নমূলক প্রকল্পে নজর দিয়েছিলেন। এসব এলাকার সড়ক, নালা, ড্রেনসহ সংস্কার ও আধুনিকায়নে বেশ কাজ করেন তিনি। এই দুই এলাকায় রয়েছে ৬৫ শতাংশ ভোট।

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির ছাত্রজীবন থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্রলীগের। আন্দোলন ও সংগ্রামেও মাঠে পরীক্ষিত নেতা হিসেবেও তার রয়েছে বেশ পরিচিতি। তিনি ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এবং একইসঙ্গে চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ ও ১৯৮৩ সালে দু’বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির (মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন-খ ম জাহাঙ্গীর পরিষদ) সদস্য ছিলেন ১৯৮১-১৯৮৩ সালে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি দু’বার সহ সভাপতি ছিলেন ১৯৮৩ সালে (আবদুল মান্নান-জাহাঙ্গীর কবির নানক পরিষদ) এবং ১৯৮৫ সালে (সুলতান মোহাম্মদ মনসুর-আবদুর রহমান পরিষদ)।

আ জ ম নাছির উদ্দিন ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের (এমএ মান্নান-এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী পরিষদ) সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক দানুর মৃত্যুর পর তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ২০১৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এডহক কমিটির সদস্য মনোনীত ২০১২ সালে। এরপর ২০১৩ সালে বিসিবি’র পরিচালক এবং একই বছর বিসিবি’র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

২০০৩ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সিজেকেএস’র কাউন্সিলর মনোনীত এবং একই বছর চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন আ জ ম নাছির উদ্দিন।

এদিকে এই আসনে পর পর টানা তিনবার মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম। তিনি নগরীর চান্দগাঁওয়ের মোহরা এলাকার বাসিন্দা। নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদ থাকলেও রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় তিনি। সিডিএ চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন সময়ে কিছু কর্মী-সমর্থক মূলতই ঠিকাদারি কাজ পাওয়ার ‘লোভেই’ এই নেতার আশপাশে ঘুরঘুর করে। পরে চেয়ারম্যান পদ ছাড়ার পর তাদের অনেকেই এখন গ্রুপ বদল করেছেন। তার আশপাশে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ আচার্য ছাড়া আর কোনো নেতাকে তেমন দেখা যায় না। আর ‘সুসময়ে পাখি’ কিছু নেতা তাকে এড়িয়ে চলছেন কৌশলেই।

জাতীয় নির্বাচন কিংবা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আসলেই হঠাৎ জেগে উঠেন আবদুচ ছালাম। সক্রিয় দেখাতে মাসখানেক সামাজিক অনুষ্ঠানেও মুখ দেখান তিনি। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তিনি পর পর দু’বার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রত্যাশী হয়েও কেন্দ্রের কোনো সিগন্যাল না পাওয়ায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এছাড়া তিনি চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনেও মনোনয়ন চান কয়েকবার।

এবারও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থীতা না পেয়ে রাজনীতি থেকে দূরে চলে যান তিনি। করোনাকালেও দেখা মেলেনি তার। কর্মী-সমর্থকদের পাশেও ছিলেন না করোনার মহামারীতে, ফোনেও সাড়া পাননি অনেকেই। দুর্যোগের ওই সময় পাশে না পেয়ে মনোবল হারান ছালাম বলয়ের কর্মী-সমর্থকরা।

এবারের মনোনয়নে আব্দুচ ছালামের ‘গলার কাঁটা’ রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি ওয়ান ইলেভেনের সুবিধাভোগী হিসেবে। ওয়ান ইলেভেনে বিতর্কিত নেতাদের কাতারেই ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১০ সাল থেকে টানা ১০ বছর সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হন তিনি।

জানা গেছে, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মান্নান ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ২০০২ সালে ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে রাজনীতিতে আনেন। শুরুতে ছালামকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে রাখা হয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েও আওয়ামী লীগের দুর্দিনে মিছিল-মিটিংয়ে তেমন দেখা মেলেনি তার।

এছাড়াও ওয়ান ইলেভেনের চট্টগ্রামে ‘সুবিধাভোগী নেতাদের’ অন্যতম হিসেবে আব্দুচ ছালামের নাম উঠে আসে সবার মুখে মুখে। এই সময় চট্টগ্রামে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মতো আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তার কিংবা নির্যাতন করা হলেও বেশ আরাম-আয়েশে ছিলেন তিনি। বরং মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের দুর্নীতিবিরোধী কমিটি চট্টগ্রাম নগরে সদস্য সচিব হন আব্দুচ ছালাম। এই কমিটির ব্যানারে দুর্নীতিবিরোধী শোভাযাত্রার তাকে সামনের সারিতেই দেখা যায়।

শোভাযাত্রায় তিনি ‘দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ শ্লোগানও দেন। ওয়ান ইলেভেনে হঠাৎ সুর পাল্টে যাওয়া আব্দুচ ছালামের হাতে উঠে ‘সাদামনের মানুষের’ স্বীকৃতি ও সম্মাননা।

২০১১ সালের শুরুর দিকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোন্দল প্রকাশ্যে ওঠে আসে। এতে দু’ভাগ হয়ে যায় নগর আওয়ামী লীগ। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন নগর আওয়ামী লীগের তখনকার সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আরেক গ্রুপের নেতৃত্ব দেন যুগ্ম সম্পাদক ডা. আফসারুল আমিন।

এই সময় মহাজোট সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে নগরীর লালদীঘির মাঠে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপই একই সময়ে জনসভার ডাক দেয়। জনসভা আয়োজনে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক দানু, সাংসদ এমএ লতিফ এবং আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। মূলত মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ঠেকাতে সব ধরনের কৌশল ভেস্তে দিতে আ জ ম নাছির ও তার অনুসারীরাও প্রকাশ্যে মাঠে নামেন।

এই বিবাদে আফসারুল আমিনের সঙ্গে ছিলেন সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি এবং নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আব্দুচ ছালাম।

নগর আওয়ামী লীগের এই গ্রুপ ২০১৭ সালে দলের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর সভাপতি পদটি শুন্য হলে পুরো কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নগর আওয়ামী লীগের প্রথম সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হলে আবারও পিছিয়ে পড়ে কমিটি ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত।

আ জ ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম-৮ আসনের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোটার চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও এলাকায়। মনোনয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় প্রধান যে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই কাজ করবো। দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি যদি আমাকে নির্দেশ দেন নির্বাচন করতে, অবশ্যই করব।’

তিনি বলেন, ‘আমি মাঠের রাজনীতি করেছি এবং জনগণের রাজনীতি করেছি। ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের সঙ্গেই আছি, থাকবো।’

এই বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমি সিডিএ’র চেয়ারম্যান ছিলাম ১০ বছর। আমার নেত্রী আমাকে সিডিএর চেয়ারম্যান পদে আমাকে নিয়োগ দিয়ে মূল্যায়ন করেছেন। চেয়ারম্যান পদে থেকে আমি চট্টগ্রামের যা করেছি, এটা চট্টগ্রামবাসীই বলবে।’

তিনি বলেন, ‘যে এলাকার উপ নির্বাচন হচ্ছে, সেই এলাকার আদিবাসী আমি এবং আমার পরিবার। এলাকার প্রতিটি মানুষের সঙ্গে আমাদের যুগের পর যুগ সম্পর্ক। মানুষের সুখে-দুঃখে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত রয়েছি। এরপরও উপ নির্বাচনের বিষয়ে আমার নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটা অবশ্যই মাথা পেতে নেবো। উনি যদি মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচন করবো। অথবা যাকেই নমিনেশন দেন তার পক্ষে কাজ করবো।’

ওয়ান ইলেভেনে ‘সুবিধাভোগী’র বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, আর কথা বলে লাভ নেই। এগুলোর সাক্ষী বাবর ভাই আছেন, শফিক আদনান আছেন। বাকিগুলো মারা গেছেন। আফসার ভাই অসুস্থ, দানু ভাই মারা গেছেন। এটা জিল্লুর রহমান এবং সৈয়দ আশরাফ সাহেব যেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই কাজ করেছি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!