মেয়ে-বোনসহ হালিশহরের ক্যান্সার আক্রান্ত নারীর জীবন গেল টাঙ্গাইলের রাস্তায়

চট্টগ্রাম থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ক্যান্সারে ভোগা ফরিদা বেগম যাচ্ছিলেন সিরাজগঞ্জের ক্যান্সার হাসপাতালে। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের আরও ৫ সদস্য। মাঝপথে এক পিকআপের ধাক্কায় পথেই মারা গেলেন ফরিদা, তার মেয়ে ও বোনসহ পাঁচজন। আহত হয়েছেন আরও আটজন।

শনিবার (৩ জুলাই) সকালে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে টাঙ্গাইলের হাতিয়া এলাকায় উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মাছবাহী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলগামী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

নিহতরা হলেন চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর এলাকার মোর্শেদের স্ত্রী ফরিদা (৩৬), তার মেয়ে মারিয়া (১৭), একই থানার ফ্রিপোর্ট এলাকার ফরিদার বোন ফেরদৌসী বেগম (৪০), অ্যাম্বুলেন্সচালক সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার চালা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৯) ও হেলপার সলঙ্গা উপজেলার রানীনগর এলাকার আবদুর রাজ্জাক মণ্ডলের ছেলে জুয়েল (২৮)। এর মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলে এবং অপর দুজন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন।

দক্ষিণ হালিশহরের বাসিন্দা ফরিদা গত ছয় মাস ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। শনিবার (৩ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে চট্টগ্রামের দক্ষিণ হালিশহর থেকে পরিবারের ৫ সদস্যসহ চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে যাচ্ছিলেন সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন— নিহত ফরিদার ছোট মেয়ে মাহি (১০), ফরিদার ভাইয়ের ছেলে চট্টগ্রাম জেলার ইপিজেড থানার ফ্রিপোর্ট এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে মারুফ (১৬), পিকআপের চালক আল-আমিন (৩৫), নুর রহমান (৪৫), শেরপুর জেলার নকলা থানার রুহা বেপারী পাড়া এলাকার মারফত (২৮), গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার দিঘীর চালা সোবহান হক মার্কেট এলাকার আবদুর রাজ্জাক মিঞার ছেলে কবির মিঞা (৪০), রায়হান মিঞা (২২) ও বাদশা মিঞা (২০)।

পিকআপের আহত চালক-সহকারী ও মাছ ব্যবসায়ী আটজনকে গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!