মেসিবিহীন বার্সেলোনার বড় জয়

ইনজুরির কারণে মৌসুমের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে পায়নি বার্সেলোনা। মেসিকে ছাড়া মৌসুমের শুরুটাও তেমন ভালো করতে পারেনি আর্নেস্ত ভালভার্দের দল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘নতুন মেসি’ হিসেবে আবির্ভুত আনসু ফাতির উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে নিজেদের সেরা ছন্দ খুঁজে নিচ্ছে বার্সেলোনা।

অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের কাছে প্রথম ম্যাচে হার, রিয়াল বেটিসকে দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানো। কিন্তু পরের ম্যাচেই ওসাসুনার সঙ্গে ড্র করে ফের অন্ধকারে পড়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। সেখান থেকে চতুর্থ ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে গোল উৎসবেই মেতেছিল কাতালুনিয়ানরা।

নিজেদের ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার জালে ৫ বার বল প্রবেশ করিয়েছে বার্সেলোনা। বিপরীতে অবশ্য দুইটি গোল হজমও করতে হয়েছে তাদের। আনসু ফাতি, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংদের মতো তরুণদের শুরুর পর জোড়া গোল দিয়ে শেষ করেছেন লুইস সুয়ারেজ। অন্য গোলটি করেছেন জেরার্ড পিকে। ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সা। আগের ম্যাচেই লা লিগার ইতিহাসে বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতার রেকর্ডগড়া ফাতি, এদিন গোল করেন ম্যাচের শুরুতেই। ডানদিক থেকে বল বাড়িয়ে দেন ডি ইয়ং, নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান ফাতি।

এর মিনিট পাঁচেক পর স্কোরশিটে নাম তোলেন ডি ইয়ং নিজেই। এবার তাকে বল এগিয়ে দেন ফাতি। এ দুজনের দারুণ রসায়নে মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় বার্সেলোনা। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে এক গোল শোধ করে দেয় ভ্যালেন্সিয়া। কেভিন গ্যামেইরোর গোলে খানিক স্বস্তি নিয়েই ডাগআউটে যায় অতিথিরা। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ম্যাচের ৫১ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান জেরার্ড পিকে। আন্তোনিও গ্রিজম্যানের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে, ফাঁকায় দাঁড়িয়ে বল জালে জড়ান তিনি। আর ৬১ ও ৮২ মিনিটে জোড়া গোল করে স্কোরলাইন ৫-১ করেন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচ শেষের আগে দিয়ে একটি গোল শোধ করেন ম্যাক্সিমিলানো গোমেজ।

চার ম্যাচ শেষে ২ জয়, ১ ড্র ও ১ পরাজয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে অবস্থান করছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৩ জয়ে ৯ পয়েন্ট পাওয়া অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ঝুলিতে রয়েছে ৯ পয়েন্ট। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!