মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট পদে সাজিদ থাকছেন আরো ১ বছর

অবসরোত্তর ছুটি বাতিলের শর্তে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট পদে থাকা সাজিদ হোসেনের চাকরির মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলে বুধবার একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ১ অক্টোবর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল নৌ প্রকৌশলী সাজিদের।

ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট নৌ-প্রকৌশলী ড. সাজিদ হোসেনকে তার অবসরোত্তর ছুটি বাতিলের শর্তে ১ অক্টোবর ২০১৯ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হল।’

মেরিন একাডেমি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে প্রকৌশলী প্রশিক্ষক পদে যোগ দেন সাজিদ। ২০০৯ সালে একাডেমির প্রধান হিসেবে কমান্ড্যান্ট পদে নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সমুদ্রগামী জাহাজে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করেন। গত মার্চ থেকে তিনি নৌ-বাণিজ্য বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল অফিসারের দায়িত্বেও আছেন।

প্রকৌশলী সাজিদ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা আইএমওর একজন মেরিটাইম অ্যাম্বাসেডর, ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (ডব্লিউএমইউ, সুইডেন) বোর্ড অব গভর্নসের একজন সদস্য এবং ইনস্টিটিউট অব মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (আইমারেস্ট লন্ডন) একজন কাউন্সিল মেম্বার।

তার প্রকাশনায় রয়েছে ২১টি বই (মুক্তিযুদ্ধ, তথ্যপ্রযুক্তি, সাইন্স ফিকশন ও সাহিত্য), ২৬টি গবেষণাপত্র এবং প্রায় ২৫০টি নিবন্ধ; মে’২০১৯-এ আইমারেস্ট লন্ডন থেকে পেয়েছেন ‘আউটস্ট্যান্ডিং কনট্রিবিউশন ইন মেরিন এডুকেশন ২০১৮ পুরস্কার। তার নেতৃত্বে তার থিসিস ‘এ প্রপোজাল ফর স্টাবলিশমেন্ট অব এ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ইন বাংলাদেশ’ অনুযায়ী ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাজিদ হোসেন মাত্র ১১ বছর বয়সে ৭ নম্বর সেক্টরে মধুপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

এফএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!