ভিডিও/ বিশ্বের ১৩তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামে

শুরু হচ্ছে ইমব্যাংকমেন্ট স্থাপন ও মাটি ভরাটের কাজ

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ। প্রথমেই শুরু হচ্ছে ইমব্যাংকমেন্ট (বাঁধ) স্থাপন ও মাটি ভরাটের কাজ। রোববার (২১ জুলাই) দুপুর দুইটায় রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে-ভিউতে এ দুটি কাজের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় আরো উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সারা পৃথিবীতে মাত্র ১২টি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখন বাংলাদেশ এই সংখ্যায় নতুন যুক্ত হতে যাচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সাইন্স’ ডিগ্রি দেওয়া হবে, যা বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এর হাত ধরে এই এলাকায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ নানামুখী সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মুক্ত হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে শুধু চট্টগ্রাম নয়; বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও বিশ্বের কাছে নতুন রূপ লাভ করবে। মেরিন ও মেরিটাইম সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষার জন্য এটিই হবে প্রথম এবং একমাত্র বিশেষায়িত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, নগরীর চান্দগাঁও ওয়ার্ড কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার হামিদচরে ১০৬ একর জায়গার ওপর নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় ৯৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের ডিপিপি ইতিমধ্যে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ সম্পন্নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। চীনের বেইজিং আরবার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহার করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

জানা যায়, হামিদচরের জায়গাটি বন্দরের মালিকানায় ছিল। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মাত্র এক হাজার টাকা এক টাকা প্রতীকী মূল্যে ১০৬ দশমিক ৬৬ একর জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়।

ইতিমধ্যে জনবল কাঠামো আবেদনের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৭৮৭ জন শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নদী, উপকূলীয় ও মহাসাগরীয় আইন এবং প্রকৌশলের ওপর সাতটি অনুষদের অধীনে ৩৮টি বিভাগ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ২০১৩ সালে ঢাকার মিরপুর পল্লবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।

জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁওয়ের কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকায় নির্মিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করবে। বিভিন্ন দেশের মেরিটাইম বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা এখানে ক্লাস করাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে প্রকল্প সংলগ্ন খালে একটি কালভার্ট ও শিল্প এলাকার সড়কটির আধুনিকায়ন করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

এমএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!