মেমন হাসপাতালে নষ্ট আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন, রোগীদের দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন গত ছয় দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নগরের সদরঘাট রোডে সিটি করপোরেশন মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ হাসপাতালে প্রতিদিন ১২-১৬ জন নারী আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে আসেন। মেশিন নষ্ট হওয়ায় এসব রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাইরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হচ্ছে রোগীদের। সিটি করপোরেশন মেমন মাতৃসদন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন আয়েশা আক্তার নামে এক নারী। আয়েশা আক্তার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গত তিন দিন আগে হাসপাতালে ডাক্তার দেখালে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বলেন। পরে হাসপাতালের ল্যাবে গেলে তারা মেশিন নষ্ট বলে জানান। পরে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মিড সিটি ল্যাবে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাই।

আয়েশা আক্তার বলেন, যদি হাসপাতালের মেশিন ঠিক থাকতো তাহলে এতো দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। এ হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে ৪৫০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাইরে থেকে করাতে ৮৫০ টাকা খরচ হয়েছে। হাসপাতালের মেশিন নষ্ট হওয়ায় দুর্ভোগের সাথে দ্বিগুণ টাকা খরচ হচ্ছে।

তানিয়া আক্তার নামে আরেকজন রোগী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমি একজন চাকরিজীবী। মেশিন নষ্ট হওয়ায় বড় সমস্যায় পড়ে গেছি। এ হাসপাতালে মেশিন ঠিক থাকলে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখিয়ে চলে যেতে পারতাম। এখন বাইরে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আবার হাসপাতালে আসতে হচ্ছে ডাক্তারকে দেখাতে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আশীষ মুখার্জী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে মেশিনটি ডিস্টার্ব দিচ্ছিল। রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার সময় সমস্যা হতো। হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যেতো। মেশিন চালু করে রোগী একটি না দেখতে না দেখতেই আবারও বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৮ আগস্ট থেকে মেশিনটি আর কাজ করছে না। ওইদিনই আমরা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাই।’

তিনি বলেন, ‘এই মেশিনটি ২০০৯ সালেই এখানে দেওয়া হয়েছিল। ১০ বছর ধরে এটা দিয়ে পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সাধারণত এতো বছর একটা মেশিন ঠিক থাকে না।’

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে চিঠি পাঠিয়েছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঠিক করার জন্য একটু সময় লাগবে। এসব কাজে কিছুটা প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে বিধায় সময় লাগে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!