মেডিকেলের বর্জ্য পোড়াতে সাড়ে ৩ কোটি টাকার প্লান্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের

প্রতিদিন পুড়বে দেড় টন বর্জ্য, থাকবে না ধোঁয়া

মেডিকেলের বর্জ্য পোড়াতে ৩ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘ইন্সিনেটর প্লান্ট’ স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এই প্লান্ট মেডিকেলের বর্জ্য থেকে সংক্রমণ ও ‍পরিবেশ দূষণ রোধ করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। নগরের ১৬৩টি সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান (হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার) থেকে সংগৃহীত দৈনিক দেড় টন মেডিকেল বর্জ্য প্ল্যান্টটিতে পোড়ানো হবে। তবে এতে কোনো ধোঁয়া হবে না।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) জাইকার অর্থায়নে করা এই প্লান্টের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। নগররে হালিশহরের আনন্দবাজারস্থ আর্বজনাগারে প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, ইন্সিনেটর প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। সংক্রমাক মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশনে গুরুত্ব দিয়ে ইন্সিনেটর প্লান্ট বসানো হয়েছে। এটি একটি পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

সরকারি বেসরকারি মেডিকেল, ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোকে তাদের ব্যবহার্য মেডিকেল বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন অনুসরণ করে অটোক্লেভ মেশিনের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করে তা বায়োসেফটিক্যাল ব্যাগে ভরে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের দিন।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরের মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলায় আনতে তিন কোটি ৬৬ লাখ টাকা দামের আধুনিক ও ধোঁয়াবিহীন মেডিকেল বর্জ্য ইন্সিনারেটর প্ল্যান্টটি চসিককে অনুদান হিসেবে দিয়েছে জাইকা। কয়েকদিন আগে নগরের হালিশহর আনন্দবাজারস্থ চসিকের আবর্জনাগারে প্ল্যান্টটি স্থাপন করা হয়। মাত্র এক হাজার ৩৭৫ বর্গফুট জায়গায় স্থাপিত প্ল্যান্টটির দৈনিক ধারণ ক্ষমতা ৪ দশমিক ৮ টন।

জাইকার সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের প্রকৌশলী গোলাম সরওয়ার বলেন, স্থাপিত ইন্সিনারেটরে পরিবেশসম্মত উপায়ে ধোঁয়াবিহীন চুল্লির মাধ্যমে মেডিকেলের যে সংক্রামক বর্জ্য আছে তা ৭০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্লাস তাপমাত্রায় সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ছাই করে ফেলা হবে। সেই ছাইগুলোও মাটি চাপা দেয়া হবে।

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, এতদিন মেডিকেল বর্জ্য পোড়ানো হত ম্যানুয়ালি। এখন থেকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পোড়ানো হবে। এতে পরিবেশ দূষণ রোধের পাশাপাশি সংক্রামক রোগ ছড়ানোও বন্ধ হবে।

আরএম/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!