মেজর সিনহার গলা হাতসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট র‍্যাবকে হস্তান্তর

খুব কাছ থেকে ৩টি গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। তার শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গিয়েছিল ওই তিন গুলি। গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। রোববার র‍্যাবের হাতে আসা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বলছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছিল সিনহার।

রোববার (৯ আগস্ট) কক্সবাজার সিভিল সার্জনের মাধ্যমে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার র‌্যাবের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন।

গত ৭ আগস্ট কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও শাহীন আবদুর রহমান ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদনটি সিভিল সার্জনের মাধ্যমে কক্সবাজার পুলিশ সুপার বরাবর পাঠান। রোববার (৯ আগস্ট) পুলিশ সুপার সেটি সিনহা হত্যার তদন্তকারী র‌্যাব কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুব কাছ থেকে সিনহাকে গুলি করা হয়। তাকে তিনটি গুলি করা হয়েছে। তিনটি গুলি তার দেহে প্রবেশ করে আবার বেরিয়ে গেছে। এ কারণে তার শরীরে ৬টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনটি গুলির একটি সিনহার বাম বুকে, একটি বাম হাতের বাহুতে অন্যটি বুকে।

গত ৩ জুলাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ তার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজারে যান সিনহা।
এরপর ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। পরে গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। পাশাপাশি মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন র‌্যাব ১৫-এর কমান্ডারকে।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তারা কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!