মৃধার বিরুদ্ধে সাত মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুদক

মৃধার বিরুদ্ধে সাত মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুদক 1এহসান আল-কুতুবী : রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া জিএম ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে আদালতে সাত মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের দুই তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রগুলো জমা দেন।
এসব মামলার অভিযোগপত্র নগরীর কোতয়ালি থানায়ও পাঠানো হয়েছে।
সাত মামলায় দুদক দুই বছর আগে মৃধাকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল । মামলা গুলো হচ্ছে, কার্পেন্টার, সিনিয়র ডেটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর ও গুডস সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ভূঁইয়া । এছাড়া রেকর্ড কিপার, ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস, শরীরচর্চা শিক্ষক ও রেলওয়ের আদালত পরিদর্শক পদে নিয়োগে অনিয়ম, জালিয়াতি ও দুর্নীতির মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দ আহমেদ রাসেল।
১ম তিনটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা সাতটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে ও সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিয়েছি। অভিযোগপত্রে মৃধা ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতির মাধ্যমে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে দায়ের করা সাত মামলার নথি তদন্তের জন্য দুদকে ফেরত পাঠান। গেল ৪জানুয়ারি সাতটি মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুমোদন দেয়।

উল্লেখ্য , ঢাকায় বিজিবি হেডকোয়ার্টারে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল টাকার বস্তাসহ তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ফারুকের আটকের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক ) তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তকালীন মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধারও সম্পৃক্ততা পায়।
পরে তার বিরুদ্ধে ও একাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে কোতোয়ালী থানায় ১৩টি দুর্নীতির মামলা করে। তবে, এ ঘটনার পর সে দু বছর পলাতক থেকে পরে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!