মৃত্যুহীন দিনে চট্টগ্রামে কমেছে করোনা শনাক্তও

করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ রকম অবনতি হওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন পার করার পর অনেকটা ‘স্বস্তিকর’ অবস্থায় চট্টগ্রামের করোনা। এদিন করোনায় প্রাণ যায়নি কারও। অন্যদিকে এই সময়ে কমেছে শনাক্তও। ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৬৭ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ২৯৩ জন এবং উপজেলার ৭৪ জন।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬ হাজার ৭৫ জন। এদের মধ্যে আগেরদিন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৫২ জন। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩৭ জন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল ) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবসহ চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাবে এক হাজার ৪৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৭৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।

চট্টগ্রামের প্রধান পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৬৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৮৩ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ৯৩ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ এসেছে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনা পাওয়া যায় ৪০ জনের দেহে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এদিন শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!