‘মৃত্যুদণ্ড নয় আমৃত্যু কারাদণ্ড’, সাজা কমলো অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যার ৩ আসামীর

চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত তিনজনের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ। আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামী হলেন, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু ও আজম।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। আসামি আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু ও আজমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

২০০১ সালের ১ নভেম্বর সকালে সংবাদপত্র পড়ার সময় চট্টগ্রামের জামাল খান রোডে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর বাসায় ঢুকে তাকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়েছিল। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৬০ বছর।

এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর স্ত্রী বাদি হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেয়।

২০০৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল শিবির ক্যাডার গিট্টু নাসির, তাসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইট্ট্যা আলমগীরের ফাঁসির আদেশ দেন।

আসামি মহিউদ্দীন ওরফে মাইন উদ্দীন, হাবিব খান, শাজাহান ও ছোট সাইফুলসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন দন্ডের আদেশ দেন আদালত। উচ্চ আদালতে শাজাহান খালাস পেলেও বাকিদের সাজা বহাল থাকে।

চার্জশীটভুক্ত ১১ জনের চার জন বিভিন্ন সময় মারা যান। তার মধ্যে ২০০৪ সালের ২৯ জুন একজন এবং ২০০৫ সালের ২ মার্চ র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে আরেকজন অভিযুক্ত মারা যান।

দুই আসামী প্রফেসর জহিরুল হক ও অধ্যাপক তোফাজ্জল আহমাদও বিচার প্রক্রিয়া চলাকালীন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!