মৃতের শেষ বিদায়ের সঙ্গী গাউসিয়া কমিটির পাশেও কারাপরিদর্শক আজিজ

করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে মরদেহ দাফন করতে আসছে না স্বজন। এতে বিপাকে পড়ছে মৃতের সন্তান কিংবা বাবা, মা। এমন ঘটনাও আছে, নিজ এলাকার মাটিতে দাফন করতে দেওয়া হয়নি করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিকে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে মরদেহ দাফনের কাজে এগিয়ে এসেছে গাউসিয়া কমিটি। মরদেহের গোসল থেকে শুরু করে শেষ বিদায়ের সব কাজ করছে এ সংগঠনটি। গাউসিয়ার কমিটির এই মহৎ উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে তাদের পাশে দাঁড়ালেন এবার চট্টগ্রামের বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ।

রোববার (২৯ জুন) গাউসিয়া কমিটি ডবলমুরিং থানার শাখার নেতৃবৃন্দের হাতে আজিজুর রহমান আজিজের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক, পিপিই, খাবার পানি, গ্লাস, শার্ট ও লুঙ্গি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাউসিয়া কমিটির ডবলমুরিং থানার সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস উদ্দিন, ২৪নং ওর্য়াড গাউসিয়া কমিটির সভাপতি শাহ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মালেক, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ সায়েম, যুবলীগ নেতা জাবেদ, মোবারক, শ্রমিকলীগ নেতা জাবেদ উদ্দীন চৌধুরী এলেন, মাহফুজ, সাইফ, আবদুল্লাহ আল সজীব, আরিফ, বিজয় বড়ুয়া, সৈকত, মানিক, নাফি।

এ বিষয়ে আজিজুর রহমান আজিজ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে গাউসিয়া কমিটি যে দায়িত্ব নিজেদের উপর নিয়েছে সেটি এই মুহুর্তের সবচেয়ে কঠিন দায়িত্ব। কারণ করোনার কারণে কেউ মারা গেলেই সংকট বেড়ে যাচ্ছে। মরদেহ হাসপাতাল কিংবা বাসা থেকে বের করে নিয়ে গোসল করানো, কাফনের ব্যবস্থা করা, জানাযা পড়ানো, সবশেষে দাফন করার মত কাজ মৃতের আত্মীয়স্বজন করতে চায় না। তাই গাউসিয়া কমিটির পাশে দাঁড়ানোকে আমি আমার দায়িত্ব বলে মনে করছি।’

এর আগে আজিজুর রহমান আজিজেত উদ্যোগে করোনায় কর্মহীন হাজারো মানুষের ঘরে পাঠানো খাদ্যসামগ্রী। মসজিদে, থানা, কারাগারে বসানো হয় জীবাণুনাশক টানেল। রমজানে আয়োজন করা হয় খেটে-খাওয়া মানুষের জন্য সেহেরি ও ইফতার। এছাড়াও কর্মহীনদের মাঝে বিতরণ করেন নগদ অর্থও।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!