মুনিয়া মৃত্যুর মামলায় বসুন্ধরার এমডি আনভীরকে অব্যাহতি দিল পুলিশ

চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে

মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিল পুলিশ।

মোসারাত জাহান মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ইতিমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ জুলাই ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের ১২০ নম্বর রাস্তার ১৯ নম্বর বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। ওই মামলার একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর।

মোসারাত জাহানের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। তাদের বাড়ি কুমিল্লার উজির দিঘিরপাড়।

লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেন মোসারাতের বোন নুসরাত জাহান। মামলার এজাহারে তিনি বলেন, মোসারাত জাহান (২১) মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। দুই বছর আগে মামলার আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের (৪২) সঙ্গে মোসারাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং সব সময় মোবাইলে কথা বলতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মোসারাত জাহান মুনিয়ার বড় বোন ইসরাত জাহান ওই সময় সাংবাদিকদের বলেন, ফুসলিয়ে নেওয়া হয়েছে মুনিয়াকে। সে (সোবহান আনভীর) তাকে (মুনিয়া) বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দেখিয়েছিল।

মামলার বাদী জানান, তার বোনকে বিয়ে করে বিদেশে স্থায়ী হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সায়েম সোবহান আনভীর। তবে আনভীরের বাবা-মা তাকে মেরে ফেলতে পারে এমন আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিল বলে জানান তিনি।

ওই সময় গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, তারা ৬টি ডায়েরি পেয়েছেন। ডায়েরিগুলো বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। তার মধ্যে যে এক ধরনের বড় হতাশা ছিল সেগুলো ডায়েরিতে ওঠে এসেছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন বা ঘটনার আগের দিন আমরা অভিযুক্তের ওই এলাকায় কোনো চলাফেরা বা ফুটেজ পাইনি। তবে এর আগে আমরা পেয়েছি। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সেগুলো আমরা এ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনায় নেবো।

তবে নানা অভিযোগ থাকলেও মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে ছাড় নয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!