মুজিববর্ষ উদযাপনে লাগাম টানতে চান মেয়র নাছির

প্রচারণা করলে অনুমতি লাগবে আগে

চট্টগ্রাম নগরীতে মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে কেউ ইচ্ছেমত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, ম্যুরাল স্থাপন বা ছবি সংবলিত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন টাঙাতে পারবে না। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া এরকম কোন প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনাকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) চসিক থিয়েটার ইন্সটিটিউট হলে ৫৪তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার, মেয়রের একান্ত সহকারী আবুল হাশেম, চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।

তিনি আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তা, ফুটপাত ও ড্রেনের উপরে ইট, বালি, কংকর লৌহজাত দ্রব্য, নির্মাণ সামগ্রী, অস্থায়ী দোকান ও দোকান পাটের মালামাল এবং কাঁচাবাজার বসিয়ে সর্বসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ্য করা হবে না। এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এই অভিযান চলাকালে রাস্তা, ফুটপাত ও চসিকের জায়গার ওপর কোন ধরনের স্থাপনা পাওয়া গেলে মালামাল জব্দ ও জেল-জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মেয়র বলেন, ‘ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নের তথ্য ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করলে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। এতে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পাবে। নগরীর হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারের বর্জ্য অপসারণের কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, ‘যত্রতত্র ময়লা ফেলে নগর পরিবেশকে কোনক্রমেই ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না। তাই নগরীর হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারের মালিকদের নিয়ে বৈঠকের পরামর্শ দেন তিনি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!