মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলার ঘটনায় এমপির কথিত এপিএসসহ আটক ৪

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ডের মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের কথিত এপিএস একেএম মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

সিএমপির কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই ঘটনায় আটক হওয়া অন্য ৩ জন হলেন বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের পিএস আবুল কালাম, ১২ নম্বর ইউনিয়ন শেখেরখীলের মিজানুর রহমান তালুকদার ও এনামুল হক।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে এনামুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এনামুল হকের সহযোগিতায় বাকি ৩ জনকে কোতোয়ালী মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফকে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান না দেওয়ায় এবং সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সাংসদ কর্তৃক অবমাননার প্রতিবাদে সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে সমাবেশ, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। মানববন্ধন শুরু হওয়ার পর পরই মানববন্ধনে হামলার ঘটনা ঘটে। বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর এপিএস তাজুল ইসলাম ও বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র সেলিম উল হকের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই হামলায় কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে আসা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন মো. বাবরসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে দয়িত্বপালনরত বেশ কয়েকজন ফটো সাংবাদিকও আহত হন।

এ হামলার ঘটনায় হামলায় আহত হওয়া জহির উদ্দীর মো. বাবর বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শক কামরুজ্জামান।

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!