মিয়ানমার থেকে এলো ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

মিয়ানমার থেকে জানুয়ারিতে টেকনাফ বন্দর দিয়ে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শুরুতে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা হ্রাস পেলেও মাসের শেষ দিকে এসে ফের বেড়েছে পেঁয়াজ আমদানি। দেশে চাহিদা থাকায় ব্যবসায়ীরা পেয়াঁজ আমদানি করছেন। এত বিপুল পরিমাণের পেঁয়াজ আমদানির পরও বাজারে এখনও বাড়তি পেয়াঁজের দাম। তবে আগের তুলনায় কিছুটা কমে এসেছে।

শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানায়, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়ীরা ৯৬৪.৭৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ১০ ব্যবসায়ীর ১ হাজার ৩১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এর আগের দিন এসেছে ১ হাজার ৩৮৯ মেট্রিক টন। তবে আগের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি আবার বাড়ছে। এ নিয়ে জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এর আগে ডিসেম্বর মাসে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিকটন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিকটন, অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। তবে চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পেয়াঁজ এসেছে ৭৬ হাজার ৪৭৩ মেট্রিকটন।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে চাহিদা থাকায় মিয়ানমার থেকে পেয়াঁজ আমদানি করছি। আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে পেয়াঁজ কাচা মাল হওয়ায় আমদানিতে ঝুঁকিও বেশি।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, ‘এ মাসে মিয়ানমার থেকে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশের চাহিদা থাকলে পেঁয়াজ আমদানি থাকবে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত সময়ে বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে সরবরাহ করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, জানুয়ারিতে পেয়াঁজ আমদানির ফলে অন্যান্য পন্য কম আমদানি হয়। ফলে মাসিক রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়ে। তার পরও দেশের চাহিদা পূরণে পেয়াঁজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’

টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ দ্রুততম সময়ে খালাস করা হয়েছে। মাঝখানে পেঁয়াজ আমদানি কমলেও আবার পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে।

এএইচ/এডি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!