মিলেমিশে আত্মসাত কমার্স ব্যাংকের ৭০ কোটি টাকা

চট্টগ্রামে ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ভুয়া কাগজ দেখিয়ে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট শাখার সাবেক এফএভিপি ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জামাল উদ্দিন মজুমদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রামের দুই কাস্টম কর্মকর্তা, দুই সিএন্ডএফ এজেন্ট ও এক ব্যবসায়ী। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে ব্যাংকের প্রায় ৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শেষে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট শাখার সাবেক এফএভিপি ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জামাল উদ্দিন মজুমদার, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সাবেক এপ্রেইজার ( আমদানি শাখা) বর্তমান রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) মো. সালাউদ্দিন তালুকদার, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সাবেক সহকারি রেভিনিউ কর্মকর্তা (রপ্তানি শাখা) মো. মফিজুল্লাহ।

এছাড়া চট্টগ্রামের আছদগঞ্জ রামজয় মহাজন লেইনের মের্সাস মাররীনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ, একই এলাকার স্মৃতি লাহিড়ী এন্টারপ্রাইজের মালিক মিসেস স্মৃতি লাহিড়ী ও নগরের পাঁচলাইশ থানার ওআর নিজাম রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র টিপু সুলতান।

দুদক সূত্রে জানা যায়, অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের দেওয়ানহাট শাখা থেকে ৭০ কোটি ৬৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০২, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৯ ও ১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক।

এএম/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!