মিরসরাইয়ে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

২০১৫ সালে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে ফারহান সাকিব নামের এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন করার ঘটনায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় দেয়।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তিন আসামিরা হলেন কাজী সরওয়ার উদ্দিন (২৯), শহিদুল ইসলাম (১৯) ও মীর হোসেন (২৮)। কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন মোবারক হোসেন (২৪)। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি শহিদুল ইসলাম ও মীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

জানা যায়, ফারহান সাকিব মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের উত্তর মোবারকঘোনা এলাকার মো. নাছির আহাম্মদের ছেলে। সে জোরারগঞ্জ জেবি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় ফারহান সাকিবের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম রুবেল বাদি হয়ে ২০১৫ সালের ১১ জুন জোরারগঞ্জ থানায় কাজী মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, মোবারক হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো সাত-আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে ৪ বছর পর বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৫ সালের ৬ জুন জোরারগঞ্জের উত্তর মোবারকঘোনা এলাকায় ফারহান সাকিব নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার দায়ে তিন আসামি কাজী সরওয়ার উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, মীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মোবারক হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ও মীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং কাজী সরওয়ার উদ্দিনকে অপর একটি ধারায় আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ফারহান সাকিবের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম রুবেল বলেন, ভাইয়ের হত্যার ৪ বছর হয়ে গেলেও আমার ভাইয়ের হত্যাকরীদের রায় পেয়েছি। আমরা সন্তুষ্ট। আমার ভাই হত্যার বিচারতো পেয়েছি। আমরা চাই দ্রুত যেন এ রায় কার্যকর হয়।

সাকী/নুসরাত

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!