চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে ১০ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।শনিবার (৪ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের গজারিয়া গ্রামের জহির উদ্দিন মাঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, আসবাবপত্র, জমির দলিল, পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রায় ৭০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্তরা হল নুরছাপা, রাশেল, মিয়াচাঁন লাতু, গিয়াস উদ্দিন, খুরশিদ আলম, মো. শাহজাহান, রিদোয়ান, ফজলুল হক, বদিউল আলম ও নুরছাপা মনা। এছাড়াও আবুল কালাম, আব্দুল কাইয়ুম ও জামাল উদ্দিনের ঘর আংশিক পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সোনালি স্বপ্ন পাঠশালার সাবেক সভাপতি মঈনুল হোসেন টিপু বলেন, শনিবার ভোররাতে সাহেরখালী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের জহির উদ্দিন মাঝি বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনে সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ১০ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন, সোনালি স্বপ্ন পাঠশালার সকল সদস্য ও মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ফায়ার সার্ভিস যদি সময় মতো পৌঁছাতে না পারতো তাহলে ওই বাড়ির অন্য ঘরগুলো রক্ষা করা সম্ভব হতো না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল মোস্তফা বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তাৎক্ষণিক তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চাউল, শাড়ি ও মাস্ক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুপুরের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা তানভীর আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট গিয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠিয়েছি। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেকটি পরিবারকে ২০ কেজি চাউল, ৪ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি তেল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি লবন, ৩টি সাবান ও ৩টি করে হাড়ি-পাতিল দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন প্রমুখ।
এএইচ