মিরপুরে মাহমুদউল্লাহর স্পিন ঝলকে চট্টগ্রামের ছন্দপতন

বৃষ্টির বাগড়ায় জাতীয় লিগ

বৃষ্টির বাগড়ায় মিরপুর আর ফতুল্লায় কিছু সময় খেলা হলেও খেলোয়াড়দের অপেক্ষা করেই কাটাতে হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডের প্রথমদিনে। বৃহস্পতিবার চার ম্যাচের মধ্যে দুটি গড়িয়েছে ঢাকায়। খেলা হয়েছে ৫১ ওভার করে। রাজশাহী ও খুলনায় টসই হতে দেয়নি অসময়ের বৃষ্টি।

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রাম বিভাগ। তারা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। দুই দফা বৃষ্টি-বাধায় খেলা হয় ৫১ ওভার।

স্বেচ্ছা-বিরতি কাটিয়ে জাতীয় লিগ দিয়ে মাঠে ফেরা তামিম ইকবালের শুরুটা ভালো হয়নি। চট্টগ্রামের ওপেনার ১০৫ বলে ৩০ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহর বলে। ২২ গজে ১৩২ মিনিট কাটালেও স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না শুরু থেকেই। ঢাকা মেট্রোর বোলাররা বোতলবন্দী করে রাখেন ‘অতি সাবধানী’ তামিমকে।

চট্টগ্রামের আরেক ওপেনার সাদিকুর রহমান অবশ্য ব্যাট করেছেন সাবলীলভাবেই। আউট হন ফিফটি ছুঁয়ে। ম্যাচের প্রথমদিন লাঞ্চ বিরতির আগে মাহমুদউল্লাহর প্রথম শিকারে পরিণত হন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮০ রানের ওপেনিং জুটিতে সাদিকুরের অবদান ৫১। ৬৯ বলে পাঁচটি চার ও এক ছয়ে সাজানো ইনিংস।

মিরপুরে মাহমুদউল্লাহর স্পিন ঝলকে চট্টগ্রামের ছন্দপতন 1
মিরপুরে তামিম না পারলেও ফিফটির দেখা পান সাদিক। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে মাহমুদউল্লাহর ঘূর্ণিতে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম দল

লাঞ্চ বিরতির পর মাহমুদউল্লাহর বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন তামিম। অবশ্য তামিম নিজেকে দূর্ভাগাও ভাবতে পারেন। সজোরে করা কাভার ড্রাইভটি সিলিতে দাঁড়ানো ফিল্ডারের জুতোয় লেগে বল চলে যায় মাহমুদউল্লাহর হাতে। বিশ্বকাপে ছন্দহীন থাকার পর শ্রীলঙ্কা সফরেও রান পাননি দেশসেরা ওপেনার। পরে চলে যান বিশ্রামে। খেলেননি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট আর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজে। ভারত সফরের আগে ছন্দে ফেরার মিশন নিয়ে নেমেছেন জাতীয় লিগে।

টেস্ট দলের আরেক সদস্য মুমিনুল হকও সুবিধা করতে পারেননি প্রথম ইনিংসে। ‘এ’ দলের অধিনায়ক হয়ে শ্রীলঙ্কা সফর করে আসা বাঁহাতি তারকা আউট হন ১১ রান করে। বোলার সেই মাহমুদউল্লাহ। ১১৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ঘণ্টাখানেক পর থামে বৃষ্টি। দলীয় রান ১৪৭-এ যাওয়ার পর আবারও বৃষ্টি শুরু হলে খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। পিনাক ঘোষ ৩০ ও তাসামুল হক ১৭ রানে অপরাজিত আছেন।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী বিভাগের ম্যাচে সারাদিনে খেলা হয়েছে ৫১.৫ ওভার। টস হেরে ব্যাটিং করতে নামা ঢাকা পড়েছে বিপর্যয়ে। ১৪৩ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়েছে তারা। রনি তালুকদার করেছেন সর্বোচ্চ ৬৩ রান। রাজশাহীর তাইজুল ইসলাম চারটি ও শফিউল ইসলাম নেন তিনটি করে উইকেট।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা-রংপুর ও রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে বরিশাল-সিলেটের ম্যাচে টসই হয়নি চার দিনের ম্যাচের প্রথমদিনে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!