মিমি সুপার মার্কেটের ১৬ দোকানে কারসাজি-অনিয়ম

মালিক সমিতির সভাপতিকে লাখ টাকা জরিমানা

পণ্যের কোনো মূল্য তালিকা ও পণ্যের গায়ে মূল্য লেখা নেই। মার্কেটের ক্রেতাদের নানা অভিযোগ ও বাজার মনিটরিং টিমের সোর্সদের তথ্যে নগরীর পাঁচলাইশে অবস্থিত মিমি সুপার মার্কেটে প্রবেশ করতেই কাপড়সহ অন্যান্য পণ্য বিক্রিতে নানা কারিসাজি ও অনিয়মের চিত্র ধরা পড়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে জেলা প্রশাসনের অভিযানে মিমি সুপার মার্কেটের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও কারসাজির ধরা পড়ে।
অনিয়ম ও ঘটনা আমলে নিয়ে মিমি সুপার মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অনিয়ম ও কারসাজি করা দোকানগুলো হলো- সাদমান ফ্যাশন, মানসী, রজনীগন্ধা, ইয়ং লেডি, আকর্ষণ, আঁচল, কাঁকন, কংকন, পিন্ধন, জারা-১, জারা-২, বন্ধন, ডল ফ্যাশন, রূপসী, তুলি ও তিশা।

অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ও তৌহিদুল ইসলাম। অভিযানের আগে বাজার মনিটরিং টিমের সদস্যদেরকে ছদ্মবেশে মার্কেটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।

অভিযানের সময় মিমি সুপার মার্কেটের অভিজাত দোকানগুলোতে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত শাড়ি-লেহেঙ্গা, থ্রি-পিছ, বাচ্চাদের ড্রেসের কাগজপত্রের মূল্যের সাথে দোকান মালিকরা কোড আকারে পণ্যের গায়ে ও রেজিস্টারে যে মূল্য লিখে রেখেছেন; সেটার মিল নেই। অধিকাংশ কাপড় জাতীয় পণ্যই আমদানি মূল্যের চাইতে অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
মিমি সুপার মার্কেটের ১৬ দোকানে কারসাজি-অনিয়ম 1

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান জানান, মিমি সুপার মার্কেটের দোকান মালিকরা কোনো ধরনের পণ্য তালিকা ও পণ্যের গায়ে ‘প্রাইস ট্যাগ’ সংরক্ষণ করছেন না। ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ও স্বেচ্ছাচারীভাবে কাপড় জাতীয় পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, ১৮টির দোকান পরিদর্শন করে দেখা যায়, ১৬টি দোকানেই কোনো ধরনের মূল্য তালিকা নেই। পণ্যের ক্রয় রশিদ, আমদানির কাগজপত্র ও চালানের সাথে বিক্রয় মূল্যের দামে বিস্তর পার্থক্য। কোন কোন দোকানে শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিস ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু দোকান মালিকেরা যে সকল কাগজপত্র দেখিয়েছেন সেগুলোর কোনোটিতেই আমদানি কিংবা ক্রয় মূল্য এত বেশি নেই।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সাদমান ফ্যাশন, মানসী, রজনীগন্ধা ফ্যাশনসহ কিছু অসাধু দোকান-মালিক ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার জন্য ফিক্সড রেটে পণ্য বিক্রি করার বিরোধিতা করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালেও মিমি সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের অনিয়ম ও কারসাজির প্রমাণ পেয়েছিলেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এমএ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!