মিথ্যা তথ্যে বন্দরে ২ বিদেশি ট্রলার, অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি

তথ্য গোপন করে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থান করছে ‘এফভি সি উইন্ড’ ও ‘এফভি সি ভিউ’ নামে ফিশিং ভেসেল (মাছ ধরা ট্রলার)। কি উদ্দেশ্যে এই ট্রলার দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় অবস্থান করছে সেটি নিয়ে কতৃৃপক্ষের কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তথ্য গোপন করে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থান করার ঘটনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ক্যামেরুনের পতাকাবাহী ট্রলার দুটি ২১ আগস্ট থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টিনেন্টাল মেরিন ফিশারিজের জেটিতে অবস্থান করছে।

২৬ আগস্ট ট্রলার দুটির কম্বোডিয়ায় রওনা হওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে এখনও অবস্থান করছে।

রোববার ( ৮ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কি উদ্দেশ্যে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছে, জাহাজগুলো দিয়ে কি করা হবে এসব বিষয়ে তদন্ত করবে কমিটি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

এই ট্রলার দুটির বাংলাদেশে ঢোকার অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তার তদন্ত এবং এগুলোকে কী করা হবে, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রোববার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দুটি ফিশিং ট্রলারের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ‘মাছধরার অবৈধ জালভর্তি জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট ইন্টারমোডাল প্রাইভেট লিমিটেড মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে সম্পূর্ণ ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ২১ আগস্ট জেটিতে প্রবেশ করায় এবং ২৬ আগস্ট বন্দরত্যাগের কথা জানালেও এখনও জাহাজ দুটি বাংলাদেশি জলসীমা ত্যাগ করেনি।’

বন্দরে মৎস্য অধিদপ্তরের পরিদর্শনের সময় মাছ ধরা এই ট্রলার দুটি দেখার পর এগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়।

তথ্য বিবরণিতে বলা হয়, ‘জাহাজ দুটির কাগজপত্রে ব্যাপক ত্রুটিসহ কাটাকুটি করে পোর্ট ক্লিয়ারেন্স পরিবর্তন করা হয়েছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর এবং কোস্টগার্ডের সরেজমিন তদন্তে জাহাজ দুটিতে মেরামতযোগ্য কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি।’

এছাড়াও জাহাজ দুটির সঠিক তথ্য ও মোটিভ নিরূপণের জন্য আগামীকালের মধ্যে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী খসরু গণমাধ্যমকে বলেন, ট্রলার দুটি মিথ্যা ডিক্লারেশন দিয়ে ঢুকেছে এবং তা তদন্ত করে ধরা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি জাহাজে ৮ জন করে নাবিক ছিল। এতে কিছু নেট বা জাল রয়েছে। যদি কোনো মাছ ধরা ট্রলার মেরামতের কথা বলে বা যে কোনো কথা বলে বাংলাদেশে ঢুকতে চায়, তখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে তা জানাতে হবে। তখন আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!