মিতু হত্যাকাণ্ড —বাবুল আক্তারের নারাজি আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৩ নভেম্বর

চট্টগ্রামে স্ত্রী খুনের ঘটনায় প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দাখিল করা নারাজি আবেদনের শুনানি হয়েছে। কারাবন্দি বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে শুনানির পর আদালত আগামী ৩ নভেম্বর আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমানের আদালতে নারাজি আবেদনের এই শুনানি হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আমরা নারাজির আবেদন করি। আবেদনের শুনানিতে অংশ নিতে মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।’

নারাজি আবেদন প্রসঙ্গে এ আইনজীবী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমার মক্কেল বাবুল আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। চুড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগে বাদীকে তদন্ত কর্মকর্তা জানায়নি। নিয়ম অনুযায়ী এটি জানাতে হয়। আবার সাক্ষীরা কেউ বাবুল আক্তারের নাম বলেনি। ইতোমধ্যে ৩ জন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে এই মামলায়। তাহলে এ মামলার কেন চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে?’

প্রসঙ্গত, বহুল আলোচিত মিতু হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়। প্রথম মামলার বাদী তার স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাদী বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। ওই মামলায় গত ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

ওইদিনই পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামী করা হয় বাবুল আক্তারকে। তিনি বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!