মিছিল-সমাবেশে ১৬ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধের আইন চান শারুন চৌধুরী

দেশের মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বাধ্যতামুলকভাবে জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা চালু করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।

শারুন মনে করেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ মাদ্রাসাগুলোকে আইন প্রনয়ণ করে অপরাজনৈতিক মদদপুষ্ট ধর্মব্যবসায়ীদের কবল থেকে রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তরুণ এই রাজনীতিবিদ এসব কথা বলেন।

তিনি ওই পোস্টে লিখেন, ‘১৬ বছরের নিচে যে কোনো নাগরিককে, যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কতৃক অথবা শিক্ষক কতৃক মিছিল, মিটিং, সহিংসতায় অংশগ্রহন করালে সেই শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটিকে কঠিন শাস্তির আইন প্রনয়ণ করা প্রয়োজন। মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বাধ্যতামুলক ভাবে আমাদের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা চালু করা প্রয়োজন।’

তিনি লিখেন, ‘আমি সবসময় বলি এসব ধর্মব্যবসায়ী ও তাদের অন্ধ সমর্থকেরা সংখ্যায় নগন্য, খুব বেশী হলে সারাদেশে মিলে ১০-১৫ লক্ষ। কিন্তু এরা সংঘবদ্ধ। এরা এখন চেষ্টায় আছে ধর্মপ্রাণ বাঙালীর আবেগকে পুঁজি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এদের কুলাঙ্গার পূর্বপুরুষদেরও আমরা বারবার পরাজিত করেছি, এখনও করছি এবং ভবিষ্যতে নির্মূল করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’

তিনি আরও লিখেন, ‘ধর্মকে নিজেদের রক্ষার বর্ম বানানো এইসব উগ্রবাদী ধর্মব্যবসায়ীদের থেকে মহান আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন। মহান আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শক্তি দান করুন যেন, শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, চরিত্রহীন, কুলাঙ্গার এসব ভন্ডদের সমূলে উৎপাটন করা যায়।

শারুণের দাবি, নিরামপরাধ সাধারণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথেষ্ট মমত্ববোধ আছে এবং তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, তাদের মুলধারায় কাজের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক শারুণ বলেন, সরকার কওমী মাদ্রাসাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তাদের সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে। মাদ্রাসাগুলো অবকাঠামো উন্নয়নেও বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ ও সরকার কাজ করছে। অথচ এই মাদ্রাসাগুলোতে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মাদ্রাসার কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামাচ্ছে সহিংসতার উস্কানি দিয়ে৷ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছে তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম নিজেদের অরাজনৈতিক দল ঘোষণা দিয়ে সরাসরি হরতালের মত রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েছে। যে কারও রাজনীতি করার অধিকার আছে। কিন্তু সহিংসতার অধিকার কারও নেই। রাষ্ট্রের সম্পদে আগুন দিয়ে তারা ইসলামের হেফাজত করতে চায়। আসলে তারা ইসলামকে হেফাজতের জন্য এসব করছে না, তারা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই নাশকতা চালাচ্ছে।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!