মা হয়েছে ধর্ষিত ছাত্রী, বাবা হতে চায় না ধর্ষক শিক্ষক

কুমিল্লার পুলিশ এসে আগ্রাবাদ থেকে ধরে নিয়ে গেল ধর্ষককে

কোচিং সেন্টারে আটকে রেখে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি পলাতক শিক্ষকসহ আরও এক আসামিকে ধরা হল চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের মিস্ত্রিপাড়া থেকে।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টিম এসে এই তিন আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লায় নিয়ে যায়। চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ত্রিনাথ সাহার নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি তারেকুর রহমান চৌধুরী এবং তার ভাই তৌহিদুর রহমান চৌধুরী।

জানা গেছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কোচিংয়ে পড়ানোর নামে সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীকে ধর্ষণের এক বছর পর গত ৪ অক্টোবর তারেকুর রহমান নামে এক প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ভিকটিমের বাবা। এর মধ্যে ধর্ষণে অন্তসত্ত্বা মেয়েটি একটি সন্তানেরও জন্ম দেয়।

কিন্তু সামাজিক মীমাংসায় বিয়ের আশ্বাস দেওয়া হলেও গত এক বছরে স্ত্রী ও নবজাতক সন্তানের মর্যাদা পায়নি মা হওয়া ওই কিশোরী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, চৌদ্দগ্রামের আলকোরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীকে পড়ানোর নামে ধর্ষণ করে তারেক নামে কোচিং সেন্টারের ওই শিক্ষক। প্রথম দিনের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রেখে ভয় দেখিয়ে পরে বহুবার ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে।

এরই মধ্যে মেয়েটি গর্ভধারণ করলে জানাজানি হয় পরিবারে। সামাজিক মীমাংসায় বিয়ের নামে এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্ত্রীর মর্যাদা পায়নি ওই কিশোরী। নবজাতক পুত্রসন্তানের দেখাশোনাও করতে আসে না অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।

এদিকে মামলা দায়ের হওয়ার পরই অভিযুক্ত শিক্ষক তারেক তার ভাইসহ কুমিল্লা থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদের মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় চলে আসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সেখান থেকেই তাদের ধরা হল।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!