মায়ের লাশ পড়েছিল যেখানে ৩ মাস পর ছেলের লাশও সেখানে

যে স্থান থেকে মায়ের লাশ উদ্ধার হয়েছিল, সে স্থান থেকেই উদ্ধার হল এবার সন্তানের মরদেহ। ব্যবধান তিন মাস। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়।

রোববার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নে সড়কের উপর থেকে মো. ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চরতী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আফতাব চৌধুরীর বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ইকবাল ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়দের ধারণা, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ওই স্থান থেকেই গত তিন মাস আগে তার মায়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছর খানেক আগে নিহত ইকবালের মাকে তার বাবা তালাক দিলে ইকবালের মা ইকবালের নানার বাড়িতে থাকা শুরু করে। তবে ইকবালের বাবা মাকে তালাক দেওয়ার সময় ৮০ হাজার টাকা দেনমোহর দিয়েই বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ইকবালের মামা মো. লোকমান আর ছগীর ঐ ৮০ হাজার টাকার জন্য ইকবালের মাকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করতো। এর কিছুদিন পরে রহস্যজনক ভাবে ইকবালের মায়ের মৃত্য হয়।

এদিকে নিহত ইকবালের চাচা হেফাজুল ইসলাম বলেন, ‘মায়ের মৃত্যুর পর হতে ইকবালের মামারা ইকবালকে মায়ের সম্পত্তি দিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলো। ইকবালের মায়ের কাছ থেকে আমাদের দেওয়া ৮০ হাজার টাকা তার মামা লোকমান আর ছগীর ছিনিয়ে নিয়েছিল। সবচাইতে রহস্যজনক কারণ হল একই জায়গায় একইভাবে তার মাও মারা গিয়েছে। তার মামা লোকমান আর ছগীর সম্পত্তির লোভেই এই কাজ করেছে বলে আমার ধারণা।’

স্থানীয় আফতাব চৌধুরী বলেন, ‘ইকবাল জীবিত থাকতে আমাদের সবাইকে বলেছিলো তাকে তার মামারা তার মায়ের মত হত্যা করতে পারে। কারণ সে মায়ের সম্পত্তির ভাগ খুঁজেছিল। এ বিষয়ে সে মামাদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানকে বিচারও দিয়েছিল।

ঘটনাস্থলে যাওয়া সাতকানিয়া থানার এসআই মো. জাকের বলেন, ‘লাশ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হওয়ায় মর্গে পাঠানো হবে। তবে মর্গ থেকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনো মামলা হবেনা।’

নিহতের মামাত ভাই মো. শাকিল বলেন, ‘আমি গ্রামে থাকিনা। আমি আর আমার আব্বু ছগীর ১ মাস জেল খেটে বের হলাম। এরপর থেকে আমি শহরে থাকি। এই খবর পেয়ে আমি আজকে সকালে এসেছি।’

তবে এলাকার লোকজন জানায়, মো. শাকিল তিন দিন ধরেই এলাকায় আছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিহত ইকবালের মায়ের পৈতৃক সম্পত্তি আছে অর্ধকোটি টাকার মূল্যের।তাই তাকে মেরে ফেলতে পারে।

চরতী ইউনিয়ন পরিষদেরর চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টা তদন্তের পর স্পষ্ট হবে।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!