মায়ের ঘাতক মাঈনুকে ১২ দিনের রিমান্ডে নিল পুলিশ

চট্টগ্রামের পটিয়ার মাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও হত্যার পৃথক তিন মামলায় মাঈনুল ইসলাম ওরফে মাঈনুর ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

বুধবার (২৪ আগস্ট) পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে পুলিশ ১৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। এছাড়া সাতকানিয়া থানায় অস্ত্র মামলায় দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

পটিয়া থানার দুই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পটিয়া থানার উপ পরিদর্শক মনোয়ার হোসেন এবং সাতকানিয়া থানার মামলার তদন্তকারী চন্দন রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৮ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার অভিযোগে সাতকানিয়া থানায় অস্ত্র আইনে পৃথক আরেকটি মামলাও করে র‌্যাব। র‌্যাব-৭ এর পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়া থানায় মামলাটি করেন।

এ মামলায় বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে জানান সাতকানিয়া থানার উপ পরিদর্শক চন্দন রায়।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধে পটিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির বর্ষিয়ান রাজনীতিক সামশুল আলম মাস্টারের বড় ছেলে মাঈনুল তার মা জেসমিন আকতারকে গুলি করে হত্যা করেন। সেদিন প্রথম গুলিটি করেছিলেন তার বড় বোন শায়লা শারমিন নিপাকে। ভাগ্যক্রমে গুলিটি মিস ফায়ার হওয়ায় নিপা প্রাণে বেঁচে যান। ওইদিন রাতে পটিয়া থানায় বড় বোন নীপা তার মাকে হত্যার দায়ে ছোট ভাই মাঈনুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন পটিয়া থানার উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম হাজারী বাদি হয়ে অস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগে পটিয়া থানায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-৭ মাঈনুলকে অস্ত্র মামলায় সাতকানিয়ায় থানায় হস্তান্তর করে।

১৭ আগস্ট বিকালে ঢাকাগামী একটি বাসে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাঈনুলকে আটক করে এবং তার দেখানো তথ্যমতে সাতকানিয়া থেকে মায়ের হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করে র‌্যাব।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!