মালিক ও শ্রমিক সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়- কেএম আলী আজম

তৈরী পোশাক খাতে উন্নয়ন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আলী আজম বলেছেন, পোশাক খাতে উন্নয়ন ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সরকার, মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সুসম্পর্ক অব্যাহত রাখতে হবে। পোশাক খাতে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি, এ উন্নয়নে ধারবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়লে, বেকার সমস্যা দূর হবে, এগিয়ে যাবে দেশ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে বিজিইএমইএ আঞ্চলিক অফিসের সম্মেলন কক্ষে তৈরী পোশাক শিল্পে কর্মরত অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার আর্থিক সহায়তা ও মৃত শ্রমিকদের ওয়ারিশদেরে গ্রুপ বীমার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, একটি কারখানায় অনেক শ্রমিক কাজ করেন। মালিক-শ্রমিকরা একে অন্যকে একটি পরিবারের সদস্য মনে করাই হলো ইতিবাচক দিক। এ দু’পক্ষের সমন্বয়ই একটি কারখানার ভবিষ্যত। কারণ, শ্রমিক ছাড়া কারখানা মালিকের কোন অস্তিত্ব নেই, তেমনি মালিক ছাড়া শ্রমিকরা অস্তিত্বহীন।

সচিব কেএম কাজেম আলী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে এ বস্ত্রখাতের উত্তান। প্রতিবছর ২০-২২ লাখ নতুন মানুষ শ্রম কাজে যুক্ত হচ্ছেন। নতুন করে কিছু সমস্যাও দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধান করতে হলে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলেই এ সমস্যার সমাধান হবে।

বিজিএমইএর প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন, শ্রমঅধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের জিআইজি মো. আল আমিন ও বিজিএমইএর পরিচালক থন্দকার বেলায়েত হোসেন।

এ সময় চট্টগ্রামের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ৩১ জন অসুস্থ শ্রমিককে চেক প্রদান ও মৃত ওয়ারিশদের বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করা হয়। প্রতি গ্রুপ বীমার চেক দুই লাখ টাকা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএর সহসভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম, সাবেক প্রথম সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব, বিজিএমইএর পরিচালক মিরাজ-ই-মোস্তফা কায়সার, পরিচালকবৃন্দ, সদস্যগণ, শ্রমিকনেতা ও শ্রমিক-কর্মচারী প্রমুখ।

আজাদ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!