মার্সিডিজ বেঞ্জসহ চট্টগ্রামে নিলামে উঠছে চার গাড়ি

বিভিন্ন পণ্য মিলিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে এবার বড় নিলামের আয়োজন করা হলেও গাড়ি নিলামে উঠছে মাত্র চারটি। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি মার্সিডিজ বেঞ্জ। তবে ২০০৬ মডেলের এই গাড়িটির চাবি হারিয়ে গেছে কাস্টমস থেকে।

কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নিলামে মার্সিডিজ বেঞ্জ ছাড়াও রয়েছে আরও তিনটি গাড়ি— এর একটি জাপানি টয়োটা ভ্যানগার্ড, একটি টয়োটা হ্যারিয়ার এবং ২০১৪ মডেলের অ্যাকোয়া হাইব্রিড কারও রয়েছে একটি। এর যে কোনোটির জন্য অংশ নেওয়া যাবে নিলামে। শুক্রবার (২৬ জুন) পর্যন্ত গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে গিয়ে দেখতে পারবেন যে কেউ। এজন্য কোনো অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

৩০ জুন কাস্টমসের নিলামে এ চারটি গাড়ি তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ফোর হুইলার ৬ সিলিন্ডার মার্সিডিজ বেঞ্জ কারটির ওজন প্রায় ৫ টন। এর নিলাম ক্যাটালগ সিরিয়াল নম্বর ২৭ এবং লট নম্বর ওবিপিসি ২/২০১/১০। গাড়িটি বন্দরের ওয়াই শেডে রাখা আছে বর্তমানে। এটি ২০১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছিল। গাড়িটির চাবি নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিলামের বিবরণীতে।

অন্যদিকে ২০১৪ মডেলের অ্যাকোয়া হাইব্রিড কারটি জাপানের তৈরি। চার সিলিন্ডারের গাড়িটি কালো রঙের। প্রদর্শনীর জন্য DAA-NHP10-AHXNB মডেলের গাড়িটি বর্তমানে রাখা আছে বন্দরের পি শেডে। টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি গাড়িটি ২০১৯ সালে বন্দরে আসে। এর সিসি ১৪৯৬ এমএল। সিরিয়াল নম্বর ৯৯ এবং লট নম্বর ওবিপি -১/২৮৭/১৯।

জাপানি টয়োটা ভ্যানগার্ড জিপ এবং টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি দুটির নিলাম হবে এক লটে। এর একটি DBA-ACA33W মডেলের জিপ, অপরটি মিনি ট্রাক। দুটি গাড়িই বর্তমানে রাখা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়াই শেডে। ২০১৯ সালে বন্দরে আনা হয় গাড়ি দুটি। এগুলোর ক্যাটালগ নম্বর ১৩২ এবং লট নম্বর ওবিপিসি-১/৭৬/২০২০।

চট্টগ্রাম কাস্টমসে গাড়ির নিয়মিত নিলাম ক্রেতা (বিডার) ইকবাল হোসেন বলেন, ‘অনেক সময় আমদানিকারকরা বন্দরের ইয়ার্ড থেকেই গাড়ি বিক্রি করেন। বিক্রি না হওয়া গাড়িগুলো পড়ে থাকে দিনের পর দিন। নির্দিষ্ট সময় পার হলে তা নিলামে তোলে কাস্টমসের নিলাম শাখা। সেখানেও অনেক সময় হাইকোর্টে রিট করে বসে আমদানিকারকরা।’

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ আল মামুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এবার নিলামে গাড়ির সংখ্যা কম। আগামী নিলামে গাড়ি তোলা হবে বেশি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আমদানিকারকও বন্দর থেকে বিক্রি করতে না পারলে গাড়ি খালাস করেন না। কারণ খালাস করতে হলে বিপুল অর্থ শুল্ক হিসেবে জমা দিতে হতো কাস্টমসকে। তাই অনেকে চেষ্টা করেন বন্দর থেকেই বিক্রি করতে।’

তিনি বলেন, যারা এ চারটি থেকে একটিও নিতে চান তারা নিলামে অংশ নিতে পারবেন। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে গিয়ে দেখতে পারবেন যে কেউ।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!