মারধর থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে মাদকসেবী বাবাকে হত্যা!

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছেলের দায়ের কোপে শাহ আলম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ছেলে জাহেদুল আলমকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- পিতার হাতে মাকে প্রহৃত হতে দেখে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ছেলের দায়ের কোপের মুখে পড়েন পিতা।

উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার আকষ্মিকতায় ঘাবড়ে গিয়ে শুরুতে বাড়িতেই পিতার রক্তপাত বন্ধ করার চেষ্টা করে ছেলে।

পরে বিকেল ৪টা নাগাদ পিতাকে হাসপাতাল নিয়ে যান ছেলে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পিতাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় চিকিৎসকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জাহেদ পিতার আহত হওয়ার বিষয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। তার কথা বলার ধরণ দেখে সন্দেহ হলে তাকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে জাহেদকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত শাহ আলমের বাড়ি হাটহাজারীর মির্জাপুর এলাকার। তিনি পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহ আলম প্রায়ই নেশা করে স্ত্রীকে মারধর করতেন। এসব নিয়ে তার সংসারে অনেকদিন ধরে অশান্তি চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শাহ আলম মাদক সেবন করার জন্য টাকা চাইতে গেলে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে জাহেদুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পিতাকে শরীরের আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন।

হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক মো. রফিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন- ‘শুক্রবার সকালে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন শাহ আলম। দুপুরে জাহেদুল বাড়িতে ফিরে ঘটনা জানতে পেরে বাবার সাথে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে জাহেদের হাতে থাকা দায়ের কোপে আহত হন পিতা শাহ আলম।

পরে নিজেই বাবাকে নিয়ে বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যান। সেখানে চিকিৎসক শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ছেলে জাহেদুলকে আটক করে।’

ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এআরটি/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!