মানুষের পাশে দাঁড়াতে জোট বেধেছে ২০০৩-০৫ ব্যাচের প্রাক্তনরা

যোগাযোগ হবে অ্যাপে

দেশের যে শিক্ষার্থীরা ২০০৩ সালে এসএসসি এবং ২০০৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল তারা সবাই এবার জোট বেধেছে। এ জোটের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এদের কেউ চিকিৎসক, কেউ ব্যাংকার। আবার তাদের কেউ ইঞ্জিনিয়ার কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবি। আবার কেউ কেউ হয়েছে উদ্যোক্তাও। বিভিন্ন সেক্টরেই এই শিক্ষার্থীরা এখন প্রতিষ্ঠিত। এবার তারা নেমেছে নিজেদের এক করে দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে।

এ উদ্দেশ্যে প্রথমে তারা ফেসবুকে গ্রুপ খুলে তৈরি করেছে প্লাটফর্ম। এবার তারা নিজস্ব অ্যাপে যোগাযোগ করবে নিজেদের সঙ্গে। শুক্রবার (১০ জুলাই) নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে ০৩-০৫ ব্যাচের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীদের অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অ্যাপটির উদ্যোক্তা আশিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ব্যাচের প্রত্যেক সদস্যের ডাটা থাকবে এই অ্যাপটিতে। সকল বন্ধুদের যুক্ত করাই আমাদের উদ্দেশ্য। সদস্যদের নাম, পেশা, ব্লাড গ্রুপ, ঠিকানা থাকবে এই অ্যাপে। যাতে যেকোনো উদ্যোগ বাস্তবায়নে একসাথেই পাওয়া যায় সবাইকে।’

০৩-০৫ ব্যাচের সমন্বয়কারী বাহার উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সারাদেশের এসএসসি ২০০৩ ও এইচএসসি ২০০৫ এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একত্রিত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা সকলে মিলে মানবতার কল্যানে কাজ করতে চাই। ইতোমধ্যে ব্যাচের উদ্যোগে আমরা অসংখ্য পরিবারকে সাহায্য করেছি। এছাড়াও ডক্টরস কল ও অক্সিজেন ব্যাংক প্রকল্প চলমান আছে। সামনে সারাদেশে আরও বড় পরিসরে এই কার্যকম পরিচালনা করতে চাই। যার কারণে এই অ্যাপটি করা হয়েছে।’

০৩-০৫ ব্যাচের আরেক উদ্যাক্তা এহছান সৌরভ বলেন, ‘যেকোনো প্রয়োজনে আমরা যেন একে অপরের পাশে থাকতে পারি এবং সহযোগিতা করতে পারি এ জন্যই এই প্লাটফর্মটি গড়ে তোলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অ্যাপটি যোগাযোগকে সহজ করে দিবে।’

অ্যাপটি উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন তাহের, গনি, মাহাদি, নাজিয়া, সেতুসহ এই ব্যাচের অন্যান্য সদস্যরা।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!