“মানিকছড়িতে হতদরিদ্রের চাল বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক”

“মানিকছড়িতে হতদরিদ্রের চাল বিক্রির সময় হাতেনাতে আটক” 1মো:আলমগীর হোসেন, (মানিকছড়ি) খাগড়াছড়ি ঃ মানিকছড়ি উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউপির ৯টি ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের নামে বরাদ্ধকৃত চাল বিক্রি করার সময় ডিলারকে জনগণ আটক করে।
জানা যায়, যোগ্যাছোলার ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের নামে বরাদ্ধকৃত চাউল ডিলার ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো: আলমগীর হোসেন চেšধুরী কে বুধবার (৮ ই মার্চ ) বিক্রয় করার সময় জনগণ আটক করে।
পরে জনগন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করে সঙ্গে-সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিাসর বিনিতা রানী, এবং ১১ বস্তা দরিদ্রের চাউল জদ্ধ করে বাজার সেক্রেটারীর নিকট গচ্ছিত রাখেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপার শুরু হলে অনেকেই হতদরিদ্রের নামের তালিকায় নিজের নাম দেখতে পেয়ে অবাক হন। বলেন আমার নামে কার্ড আছে কিন্তু আমি নিজেই জানি না। আমার নামের বরাদ্ধকৃত চাউল এতদিন ডিলার মো: আলমগীর হোসেন ছৌধুরী, নিজে মেরে গেয়েছেন।
৮ ই মার্চ অনেকেই কার্ড আছে জীবনে কার্ড রেশন পান নাই বলে মানিকছড়ি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। ভুক্ত ভোগীরা আরো জানান ডিলার ও ছাত্রলীগ নেতা মো: আলমগীর হোসেন চৌধুরী নিজে ভোটার আইডি থেকে ভোরন নং ও ছবি ব্যবহার করে নিজে আত্মসাৎ করেন দীর্ঘদিন এইসব হতদরিদ্র রেশন। ৭নং ওয়ার্ডে বাসিন্ধা সাজেদা বেগম,স্বামী- আবু তাহের,ও রূপধন চাকমা,পিতা- মনমোহন চাকমা সাংবাদিককে বলেন ডিলার ছাত্রলীগ নেতা মো: আলমগীর হোসেন চৌধুরী, আমার নামে একটি রেশন কার্ড বরাদ্ধ করেছে শুনেছি কিন্তু আমি অদ্য পর্যন্ত কোন প্রকার রেশন কার্ড বা চাউল কখনো পাই নাই। অফিযোগ কারী ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা জয়নব বিবি, স্বামী-রফিকুল ইসলাম, উচাই মারমা, পিতা-আথুইশি মারমা, রূপধন চাকমা, পিতা- মনমোহন চাকমা, উক্রাজাই মারমা, স্বামী-এহশে মারমা, অভিযোগ করে বলেন ডিলার এইসব প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে আমাদের নামের বরাদ্ধকৃত চাউল নিজে গোপনে অন্যত্র বিক্রয় করার সময় প্রসাশন হাতে নাতে ধরে। পরে আমরা তালিকায় জানতে পারি আমাদের নাম আছে কিন্তু আমরা কখনো ডার্ক বা রেশন দেখতে পাই নাই।
৪.৫.৬ নং ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার শাহিনা আক্তার, সাংবাদিক কে বলেন আমাদের দেওয়া নাম তালিকা জমা দেওয়ার পর ডিলার মো: আলমগীর হোসেন চৌধুরী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাদের দোহাই দিয়ে বলেন আপনাদের দেওয়া তালিকা পরিবর্তন-সংযোজন করা হয়েছে।
গত ১৯-০৭-২০১৬ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার যুথিকা সরকার স্বাক্ষরীত অনুমোদিত তালিকা থেকে অনেকই কার্ড বা চাউল ছোখে দেখে নাই। তাদের নামের বরাদ্ধকৃত চাউল মেরে খেয়েছে ডিলার।
৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মো: জয়নাল আবেদীন বলেন গত ১৯-০৭-২০১৬ ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার যুথিকা সরকার স্বাক্ষরীত অনুমোদিত তালিকা চুরান্ত তালিকা। সেই তালিকা থেকেই অনেকই কার্ড বা চাউল ছোখে দেখে নাই বলে তালিকা ভুক্তি ৬২নং ত্রমিক রূপাধন চামকা আমর নিকট অভিযোগ করে বলেন আমি কখনো হতদরিদ্র কার্ড বা চাউল ছোখে দেখিনাই। জব্ধকৃত চাউলের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করছেন।
৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মো:শামীম সাংবাদিক কে বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি তবে দু:খ জনক ছাত্রলীগ কর্মী বিদায় তাহাকে হতদরিদ্র চাউলের ডিলার নিযোগ দেয়া হলেও রক্ষক যখন বক্ষক হন এমনি হয়। জদ্ধকৃত চাউল সহ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধ্যমে তদন্দ চলছে।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন(মাষ্টার), সাংবাদিককে বলেন আমার দলের লোক ঠিক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অন্যায় কে কখনো প্রশ্রয় দেয় না। যদি তদন্তে উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ন সম্পাদক ডিলার আলমগীর হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান হয়। তাহার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রসাশন যে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন তাহা সঠিক।
অভিযোক্ত মো: আলমগীর হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আসলে আমার বিরুদ্ধে একটি মহল বিভিন্ন চক্রান্ত করিতেছে। তবে জব্ধকৃত চাউল কার্ডধারীরা নেন নাই। সময়ে নিয়ে যাবেন । এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বাজার সেক্রেটারীর মাধ্যেমে সমস্যার সমাধান চলছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!