মানিকছড়িতে ক্রেতাশূন্য বাজার, করোনায় দিশেহারা কৃষক

সাধারণ ছুটির ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন। বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ। মানুষের আয়-রোজগার নেই তেমন। তাই এখন সবজির ব্যবসাও ভালো যাচ্ছে না। সবজি নিয়ে প্রতিদিন বাজারে আসলেও দেখা মিলছেনা ক্রেতা ও পাইকারদের।

কথাগুলো বলছিলেন মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন মধ্যম গোদাতলীর সবজি বিক্রেতা কৃষক ফুল মিয়া (৪৭)।

প্রতিদিন বাজারে করলা, সিম, টমেটো, বেগুন, শশা সহ নানা জাতের সবজি নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্রেতার দেখা নেই। তার মতো একই অবস্থা শুবা মিয়া, মো. কামাল ও মো. অলি উল্লাহ সহ বহু সবজি বিক্রেতার।

এলাকার বহু কৃষকের অভিযোগ ক্ষেতের সবজিগুলো এখন আমাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। লাখ লাখ টাকা পুঁজি দিয়ে আজ আমরা দেউলিয়া হওয়ার পথে। আমাদেরকে কেউ কোন প্রকার সাহায্যও করছেনা। আমরা এখন না পারছি সইতে না পারছি মরতে। এভাবে মনের দু:খগুলো প্রকাশ করছিল কৃষকরা।

জানা যায়- প্রতিদিন সবজি বাজারে আনার পর নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। লকডাউনের কারণে বাজারে শহর থেকে পাইকাররা আসতে পারছেনা। এক-দুইজন পাইকার আসলেও সবজি ক্রয় করার পর শহরে যেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাজার সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দেশে মহামারি করোনার কারনে কৃষকের সবজি বিক্রয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা কৃষকরা এইবার মূলধনও মাঠ থেকে তুলতে পারবেনা।

কৃষকের দিকে সরকার যদি একটু সুদৃষ্টি দেয় তাহলে কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে আনতে পারবে।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!