‘মানহীন পণ্যকে পুনরায় উত্তীর্ণ বলে প্রশ্নবিদ্ধ হলো বিএসটিআই’

তৃতীয়পক্ষের পরীক্ষাগারে সেই ৫২পণ্য পরীক্ষার দাবি ক্যাবের

পুনঃ নিরীক্ষার নামে মানহীন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২ পণ্যকে পূনরায় মান উত্তীর্ণ বলে চালিয়ে দেবার ঘটনাকে অনভিপ্রেত, অনাকাংখিত ও বিএসটিআইয়ের মান পরীক্ষণ নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টির অবকাশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাবের(কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) নেতৃবৃন্দ।

পুনঃপরীক্ষণ হতে হলে তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষাগারে হওয়া উচিত এবং সেখানে বিএসটিআই ও সংশ্লিষ্ট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ভোক্তা প্রতিনিধি হিসাবে ক্যাব ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি দরকার ছিলো বলে মনে করেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অবিলম্বে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে বাজার থেকে সব নিষিদ্ধ পণ্য তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগ ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

প্রসংগত, বিএসটিআইয়ের ৫২ পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে বিএসটিআইকে ম্যানেজ করে পূনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণার ১৭ দিনের মাথায় ওয়েলফুড ও মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইয়ের লবণ, নিউজিল্যান্ড ডেইরির ডুডলস নডুলসসহ বেশ কিছু পণ্য বিএসটিআইয়ের পুনঃনিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ এ সব দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ‘উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে চিরাচরিত প্রথায় বিএসটিআইকে ম্যানেজ করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জাতিকে লজ্জিত করেছেন। কারণ বিএসটিআইয়ের মান সনদ প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে প্রতিনিয়তই সংবাদমাধ্যমগুলো সোচ্চার। কিন্তু দুর্নীতি ও অনিয়মে নিমজ্জিত এ প্রতিষ্ঠানকে সেখান থেকে বের করা যাচ্ছে না। সে কারণেই একই পণ্য একবার নিরীক্ষণে মানহীন প্রমাণিত হয়, আবার পূণঃনিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এতে বিএসটিআইয়ের নিজের মান সম্পর্কেই সাধারণ জনগণের মনে সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক। একই সাথে হাইকোর্টে নির্দেশনা অনুসারে বাজার থেকে পণ্যগুলি তুলে না নিয়ে পুনঃনিরীক্ষণের নামে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজসের নতুন ফন্দি আাঁটা ও হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সামিল বলে মন্তব্য করেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বারবার যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন রিসিভ করেন নি বিএসটিআই চট্টগ্রামের পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম রেজা।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।

এমএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!