মাদকাসক্ত পুলিশের খোঁজ চলছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশে, শুরুতেই ধরা সাতজন

মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) বিভিন্ন ইউনিট ও বিভাগের সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ‘ডোপ টেস্ট’ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেশকিছু পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন পুলিশ সদস্য মাদকাসক্ত বলে প্রমাণ পেয়েছে সিএমপি সদর দপ্তর।

জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে সিএমপিতে চলে আসা মাদকাসক্ত নির্ণয়ের পরীক্ষা ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন মোট সাত পুলিশ সদস্য। নগরীর বিভিন্ন থানায় কর্মরত এসব সদস্যের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দায়ের করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ের সামনে পুলিশ পেট্রোল কার কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এ কথা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর নিজেই।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের মাদকাসক্ত সদস্যদের চিহ্নিত করতে নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডোপ টেস্টে পজিটিভ সাত পুলিশ সদস্যকে বিভাগীয় মামলার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাদকাসক্তদের চিহ্নিত করতে এই ধরনের টেস্ট ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিভাগে চিঠি দিয়ে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত সদস্যদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেসব ইউনিট ও বিভাগের কাছ থেকে তালিকা মিলেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সম্ভাব্য সন্দেহভাজন একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে এসব সন্দেহভাজনকে ডেকে এনে তারা সত্যিই মাদকাসক্ত কিনা সেজন্য ডোপ টেস্ট করানো হচ্ছে।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর ডোপ টেস্টে পজিটিভ অর্থাৎ মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১০ সদস্যকে স্থায়ী এবং ১৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ডিএমপিতে এ পর্যন্ত মোট ৬৮ জন সদস্য ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন সার্জেন্ট, পাঁচজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), পাঁচজন নায়েক এবং ৫০ জন কনস্টেবল রয়েছেন। এছাড়া মাদক বিক্রি, মাদক সেবন, মাদক দিয়ে ফাঁসানো এবং উদ্ধারকৃত মাদক তুলনায় কম দেখানোর অভিযোগে ডিএমপির আরও ২৯ সদস্য অভিযুক্ত হয়েছেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!