চট্টগ্রাম ডুবল ৯ ঘণ্টার বৃষ্টিতে

চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টিতে আবারও ডুবল নগর। শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৪৭ মিলিলিটার।

এরমধ্যে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টার বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১১২ দশমিক ৩ মিলিলিটার। রোববার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি হচ্ছিল।

টানা বৃষ্টিতে নগরীর বাকলিয়ার তিন ওয়ার্ডের প্রায় সব এলাকা, দেওয়ানবাজার, বাদুরতলা, চকবাজার, কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, মুরাদপুর, শুলকবহর, বিবিরহাট, পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর ও পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর পানিতে ডুবে গেছে এলাকাগুলো। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় জমে থাকা পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। এরমধ্যে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে জোয়ারের পানি। জোয়ারের ফলে আগ্রাবাদ, বন্দর, ইপিজেডের বিভিন্ন এলাকায় পানির উচ্চতা বেড়ে গেছে।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি। যেখানে আগে হাঁটু পানি উঠতো সেখানে এখন কোমর সমান পানি। বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়েছে। দুই নম্বর গেট দিয়ে গাড়ি চলছে এক কোমরের ওপরের পানি মাড়িয়ে। এছাড়া মুরাদপুর ও চকবাজারে সেই পুরোনো দৃশ্যই দেখা গেছে। কোমর সমান পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে মানুষ।

বৃষ্টির কারণে ড্রেনগুলোতে পানির স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আর্বজনা জমে থাকায় পানি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় জমে আছে পানি।

এদিকে রোববার বিকালের পর বিভিন্ন অফিস ও গার্মেন্টস ছুটির হলে দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবীরা। রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় হেঁটেই বাড়ির রাস্তা ধরেছেন অনেকে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সমুদ্রে কোনো সতর্ক সংকেত নেই।’

মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাবের কারণেই এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

২১ জুন থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমার সম্ভাবনা আছে। তবে পাহাড়ধসের সম্ভবাবনা আছে বলেও জানান মাজহারুল ইসলাম।

পতেঙ্গাস্থ আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পূর্বাভাস কর্মকর্তা ওবায়েদুল্লাহ বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে ১১২ দশমিক ৩ মিলিমিটার। রাতেও মুষলধারে বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার বিকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে হালকা ও মাঝারিতে ঠেকবে।’

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!