মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর রোলমডেলে

‘বিগ বি’ চিন্তাধারা নিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে জাইকার অর্থায়নে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।

২০২৬ সালে এই বন্দরের কাজ শেষ হবে জানিয়েছেন তিনি বলেন, দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য গভীর সমুদ্র বন্দর করা হচ্ছে।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর ভবনে মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের জাপানি কনসালটেন্ট নিপ্পন কোয়েইর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রথম সভা শেষে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান এ সময় বলেন, ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ বন্দরের সাথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক বেল্ট গড়ে উঠছে তা বেগবান হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে রোলমডেল করেছেন তার সঙ্গে সংগতি রেখে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।’

এ সময় বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম বলেন, ‘৮ থেকে ১৪ হাজার কনটেইনার নিয়ে জাহাজ আসতে পারবে মাতারবাড়িতে। আমাদের প্রচুর কনটেইনার পরিবহনের চাহিদা বাড়ছে। প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্যে ডিজাইন করা হচ্ছে। পরে জেটি বাড়লে সক্ষমতা বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে। ৪৬০ মিটার লম্বা জেটি করা হচ্ছে। নদীপথ যুক্ত আছে। পরে সড়ক ও রেলপথ যুক্ত হবে। বড় জাহাজে কনটেইনার আসলে খরচ কমে যাবে, ব্যবসায়ীরা আকৃষ্ট হবেন। ২০২৬ সালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ হয়ে যাবে। একটি বন্দরের অধীনে অনেক টার্মিনাল বন্দর থাকতে পারে। মাতারবাড়ী পোর্ট চট্টগ্রাম বন্দরের সীমার মধ্যে। জাপানি অর্থায়নে এর প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে মাতারবাড়ি প্রজেক্টের পিডি ও জাপানি কনসালটেন্সির টিম লিডার হুথানি সান বলেন, ‘আমরা দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করছি। এ প্রজেক্টে দুটি ভাগে কাজ হচ্ছে। একটি প্রকল্প চলবে জুন ২০২১ জুন থেকে ২০২২ জুন পর্যন্ত। অপর প্রকল্প ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এছাড়া এ প্রকল্পের দুটি ভাগ রয়েছে ডিজাইন ও প্রকিউরম্যান। জাপান কোয়ালিটি মেনটেন করবেন। ভূমিকম্প প্রতিরোধ করে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।২০২৬ সালে চালু হবে এ বন্দরের কার্যক্রম।’

এ সময় বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করীম, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক, বন্দর সিবিএ সভাপতি মুনসুর আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মাতার বাড়ি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর দিচ্ছে ৮ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা। সড়ক ছাড়া শুধু মাতারবাড়ি বন্দরের জন্য খরচ হচ্ছে ৯ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের বাকি টাকা জাপান সরকার থেকে ০.০১ শতাংশ লভ্যাংশে লোন নেওয়া হচ্ছে। জাপানি কনসালটেন্সির জন্য ২৩৪ কোটি টাকা খরচ হবে। তারা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কাজ করবেন এ প্রকল্পে।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!