মাটিরাঙ্গায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বিজিবির সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার গাজীনগর গ্রামে বিজিবির সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাগানের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৪জন নিহত হন। এছাড়া গুলিতে স্বামী-সন্তান নিহত হওয়ার খবর পেয়ে এক নারী হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার রিয়াজুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত ৫ জন হলেন বিজিবি সদস্য শাওন, বাগান মালিক সাহাব মিয়া প্রকাশ মুছা (৫৭), সাহাব মিয়ার ছেলে আলী আহম্মদ আকবর এবং গ্রামবাসী মো. মফিজ মিয়া। এছাড়া হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন সাহাব মিয়ার স্ত্রী রঞ্জু বেগম।

এলাকাবাসী জানায়, গাজীনগর গ্রামের সাহাব মিয়া সকালে তার নিজের বাগান থেকে কয়েকটি গাছ কাটেন। গাছগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় সেগুলো অবৈধ দাবি করে বিজিবি সদস্যরা জব্দ করতে চায়। এক পর্যায়ে গ্রামবাসীরা এক হয়ে বিজিবি সদস্যদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা গুলি ছোড়ে।

মাটিরাঙ্গা থানার ওসি সামসুদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি সদস্য শাওন ও বাগান মালিক সাহাব মিয়া প্রকাশ মুছার (৫৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

মাটিরাঙ্গা পৌর মেয়র সামছুল হক বলেন, সাহাব মিয়ার ছেলে আলী আহম্মদ আকবর মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা গেছেন। এছাড়া স্বামী ও সন্তানের মৃত্যু সংবাদ শুনে সাহাব মিয়ার স্ত্রী রঞ্জু বেগম হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মো. মফিজ মিয়া ও মো. হানিফকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে মো. মফিজ মিয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাউদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা কাজ করছি।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!