মাটিখেকোদের চোখ চন্দনাইশের দুর্গম এলাকায়, দুই মাসে জরিমানা ৫ লাখ

দুর্গম ৩ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মাটি কাটা হয় রাতের আঁধারে

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় রাতের আঁধারে মাটি কেটে পাচার করছে একটি চক্র। দুর্গম এলাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নিচ্ছে রাতারাতি। বিশেষ করে উপজেলার দুর্গম তিন ইউনিয়ন ও এক পৌরসভার এলাকা টার্গেট করে সেখান থেকে মাটি কেটে পাচার করছে মাটিখেকো চক্র। তবে এই চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।

মাটিখেকোদের চোখ চন্দনাইশের দুর্গম এলাকায়, দুই মাসে জরিমানা ৫ লাখ 1

গত দুই মাসে উপজেলায় সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন প্রশাসন। অভিযানে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর ফলে কমে এসেছে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।

জানা গেছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় মাটিখেকোরা কৌশলে পাহাড় ও কৃষি জমি কাটার চেষ্টা করে। স্থানীয় প্রভাবশালী ও ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় একটি চক্র মাটি কেটে পাচার করছে এসব এলাকা থেকে।

আরও জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর চন্দনাইশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৪১ লট এলাহাবাদে মাটি কাটতে যায় ওই চক্র। পরে খবর পেয়ে মধ্যরাতেই অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক। পরে মাটিখেকোরা অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়া গত ১৯ ডিসেম্বর একই কায়দায় রাতের আঁধারে উপজেলার জামিজুরী এলাকায় অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরীন আক্তার। অভিযানে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেন, ‘আমি এবং ইউএনও মহোদয় সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছি। মাটি কাটা এবং পাহাড় কাটায় আমরা এই উপজেলায় জিরো টলারেন্স পলিসি অবলম্বন করছি। যখনই মাটি কাটার খবর আসছে, আমরা তখনই অভিযান করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও নাছরীন আক্তার বলেন, ‘এই সময়টাতে মাটি কাটা ও পাহাড় কাটার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ অভিযান চালাচ্ছি। গত দুই মাসে আমরা ৭টি মামলায় মোট ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান করছি। দুর্গম এলাকা হওয়ায় অনেক সময় দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া যায় না।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!