মাঝরাতের চট্টগ্রামে হঠাৎ পুলিশের ‘অতর্কিত তল্লাশি’

রমজানে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নগরীতে জোরদার করা হয়েছে কড়া নজরদারি। নগরীর তিনটি স্পটে রোববার রাত ১১ টা থেকে এডিসি শাহ্ মোহাম্মদ আব্দুর রউফের নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন হঠাৎ অতর্কিত তল্লাশি চালানো হল। পুলিশ একে ‘সারপ্রাইজ’ হিসেবে উল্লেখ করছে।

জানা যায়, ঈদের আগের এই সময়টায় প্রায় প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন স্পটে সারপ্রাইজ অভিযান চালানো হচ্ছে। যেকোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর ওয়াসা মোড়, বিআরটিসি এবং জামালখান মোড়ে এ অতর্কিত তল্লাশি চালানো হয়।

chittagong-police-surprise-checking
ওয়াসা মোড়, বিআরটিসি এবং জামালখান মোড়ে এ অতর্কিত তল্লাশি চালানো হয়

সরজমিনে দেখা যায়, ১৫টি বাইকের বহর নিয়ে ২০-২৫ জন যুবক হঠাৎ জামালখান মোড়ের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। ৩০ সেকেন্ড অবস্থানের পর পুলিশের তল্লাশি নজরে আসতেই তারা তড়িঘড়ি পালিয়ে যায়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রমজান আসার পর থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় আমরা প্রায় প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সারপ্রাইজ তল্লাশি চালিয়ে আসছি, যাতে অপরাধীরা পালাতে না পারে। যানবাহন ছাড়াও সন্দেহজনক মনে হলে কেউ এই তল্লাশি থেকে বাদ পড়ছে না।’

সারপ্রাইজ তল্লাশি সাধারণত বিভিন্ন হোটেল, মার্কেট এবং প্রতিটি ব্যস্ততম সড়কে করা হচ্ছে।
সারপ্রাইজ তল্লাশি সাধারণত বিভিন্ন হোটেল, মার্কেট এবং প্রতিটি ব্যস্ততম সড়কে করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এ সারপ্রাইজ তল্লাশি সাধারণত বিভিন্ন হোটেল, মার্কেট এবং প্রতিটি ব্যস্ততম সড়কে করা হচ্ছে।

এডিসি শাহ্ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, ‘রমজানে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এ অভিযান। অপরাধীরা এ সময়ে যাতে অপরাধ করে পালাতে না পারে তাই শহরে কড়া নজরদারি রেখেছি।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!