মহেশখালীর প্রধান সড়কে ২০০ গর্ত, ঝুঁকিতে যান চলাচল

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রধান সড়কটিতে বড় বড় গর্ত আর কাঁদা-পানিতে ভর্তি। এতে সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

যানবাহন চালকরা বলেন, ‘এ সড়কে যান চালানোর মতো অসহায়ত্ব আর নেই। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে বলে বেড়েছে দুর্ভোগ। সড়কটি বর্তমানে মরন ফাঁদ।’

এলাকাবাসীরা জানান, ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রচণ্ড দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যানচালক ও যাত্রীরা।

জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর মহেশখালীকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে এখানে সরকারের বড় বড় ১৮টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিন্তু বদলায়নি মহেশখালী উপজেলার প্রধান সড়কের চিত্র। উপজেলার গোরকঘাটা থেকে জনতা বাজার প্রধান সড়কের উপর ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।মহেশখালীর (পশ্চিম) প্রধান সড়কটি উত্তর-দক্ষিণ জনতাবাজার-গোরকঘাটা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জরিপে ২৭.৩৩০ কিলোমিটার। তারমধ্যে ৩.১০০ কিলোমিটার চিতাখোলা হয়ে মাতারবাড়ির দিকে বাঁকা। ওই সড়কে ৮টি কালভার্ট, ইউ ড্রেন বক্সসহ ২টি বেইলি রয়েছে। প্রায় কালভার্টসহ অধিকাংশ ব্রিজের দুই পাশে মাটি নাই। সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপোযোগী।ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ২শর অধিক খানা-খন্দকে ভরা। এ নিয়ে সীমাহীন ভোগান্তিতে উপজেলাবাসী।

জানা গেছে, সড়কটি প্রায় একযুগ পূর্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় ১২ফুট প্রশস্ত ও কার্পেটিং করা হলেও অদ্যবধি কোন ধরনের একটি কংক্রিটের কণাও রাস্তা দেয়নি বলে অভিযোগ করেন মহেশখালীবাসী।

স্থানীয়রা বলেন, রাস্তার দুপাশে প্রধান সড়কে গাইডওয়াল না থাকায় সামান্য গুড়ি বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

বড় মহেশখালী নতুনবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ছোটবড় গর্তে ভরা ব্যস্ত সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে, একটু বৃষ্টি হলে সড়ককে চাষের জমি মনে হয়।

হোয়ানকের ব্যবসায়ী মৌং ইসহাক বলেন, টাইম বাজারসহ প্রধান সড়কে নাজুক গর্তে ভরপুর এবং অধিকাংশ বেইলি ব্রিজসহ বেশিরভাগ কালভার্টের উভয়পাশে মাটি না থাকায় যান চলাচল করতে খুবই বিপজ্জনক।

তিনি আরো বলেন, একজন গর্ভবতী এবং মুমূ্র্ষু রোগীকে হাসপাতালে নেয়া কঠিন হয়।

কালারমারছড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রাস্তাটির প্রত্যেক পয়েন্টে চলাচলের অনোপযোগী হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলায় আসা ট্যুরিস্ট ও সাধারণ মানুষ।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা জানান, এ সড়কটি ১২ ফুট প্রস্থস্ত ২০১৬-২০১৭ অর্থ-বছরে সংস্কার করা হয়েছিল। সম্ভবত পরবর্তী মাসে ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কটি সংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘প্রধান সড়কে বেইলি ব্রিজগুলো সংস্কার করে ঝুঁকি এড়াতে কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।’

মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা বলেন, বিগত প্রত্যেক মিটিং-এ মহেশখালীর প্রধান সড়কের কথা তুলে ধরি। বাস্তবায়নও হবে আশা করি।

এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামিরুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের কথামতে অতিদ্রুত ১৮ ফুট প্রস্থস্ত প্রধান সড়কের কাজ শুরু হবে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!