বান্দরবান এর পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান সে এলাকার মহিলা মেম্বার ছোমাচিংকে মারধোর করেন। মহিলা মেম্বারের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ছোমাচিং পাইন্দু ইউনিয়নে ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে এলাকার একটি খাবার হোটেলে ভাত খাচ্ছিলেন মহিলা মেম্বার ছোমাচিং মারমা। এ সময় উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা ওই খাবার হোটেলে যান । মহিলা মেম্বার ছোমাচিং এর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া এবং পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি চেয়ারম্যানের সামনে আলোচনা করেন ছোমাচিং এর সাথে থাকা কয়েকজন। তখন পদত্যাগের বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে যান দুজনই । এক পর্যায়ে হোটেলে সবার সামনে ছোমাচিং মেম্বারকে লাথি মেরে ফেলে দেন চেয়ারম্যান উহ্লা মং । পরে স্থানীয়রা এসে দুইজনের ঝগড়া থামান।
মহিলা মেম্বার ছোমাচিং মারমা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে মিমাংসার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ছোমাচিংকে তার বাসায় ডেকে পাঠান।
এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে মহিলা মেম্বারের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেলেও তিনি রাজি হননি।
চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, ছোমাচিং মেম্বার আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাই তাকে পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছি।
মহিলা মেম্বার এর কৃতকর্মের জন্য তার কাছে ক্ষমা চাইবেন না। প্রয়োজনে ১০ বছর জেলে থাকবেন জানান উহ্লামং চেয়ারম্যান।
মহিলা মেম্বার ছোমাচিং বলেন, কোনো মিমাংসা হয়নি। দুই একদিনের মধ্যে সময় ও সুযোগ বুঝে থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি) করব ।