মসজিদের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ: ৭ বছর পর গ্রেপ্তার হত্যা মামলার আসামি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে রাশেদ হোসেন (৩৬) নামে হত্যা ও অপহরণ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মাদার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাশেদকে।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ওয়াকফ করা (দান করা) জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ বাধে দুই পক্ষে। এতে একপক্ষের (মামার বাড়ির) হয়ে সংঘর্ষে জড়ান উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মাদার বাড়ি এলাকার হামিদ হোসেনের ছেলে রাশেদ হোসেন (৩৬)।

সংঘর্ষে প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী আবুল হাশেম মাথায় আঘাত পেয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন, পরে আইসিইউতে থাকাবস্থায় ১৩ জানুয়ারি তিনি মারা যান। সংঘর্ষের পর দায়ের করা মামলাটি রূপ নেয় হত্যা মামলায়। সে মামলায় আসামি করা হয় রাশেদ হোসেনকে।

ঘটনার পর পালিয়ে যায় রাশেদসহ অন্যান্য আসামিরা। এর প্রায় ৭ বছর পর সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের উত্তর মাহালিয়া জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ওয়াকফকৃত জায়গা নিয়ে বিরোধের সংঘর্ষে খুন হওয়া আবুল হাশেম হত্যা মামলা এবং তার ভাই আবুল কাশেমকে অপহরণের পৃথক দুইটি মামলার আসামি রাশেদ। হত্যা মামলা দায়েরর পর আবুল হাশেমের বড় ভাই আবুল কাশেমকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিত আসামিরা।

২০১৬ সালের ৯ জানুয়ারি রাশেদ হোসেনসহ অপর আসামিরা আবুল কাশেমকে উপজেলার কেরানীহাটের মোনাফ চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকা থেকে অপহরণ করে। পরে রাশেদকে ১নং আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানার অপহরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। উভয় মামলায় রাশেদ হোসেন ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল৷

সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, রাশেদ আলোচিত ব্যবসায়ী হাশেম হত্যা ও হাশেমের বড় ভাই কাশেম অপহরণ মামলার ১নং আসামি। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেছিল। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!