মধ্যরাতে ঝটিকা লকডাউন সাতকানিয়ার পুরানগড়ে

করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মেয়ে-শাশুড়ি এসেছিলেন সৌদি থেকে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের একটি অংশ লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হওয়া বৃদ্ধের মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ওই ইউনিয়নে। তার স্বামীও সৌদিপ্রবাসী। কিছুদিন আগে সৌদি আরব থেকে ওমরাহ পালন করে এসেছেন করোনা ‘পজিটিভ’ দামপাড়ার ওই বৃদ্ধের মেয়ে ও তার শাশুড়ি। ওই নারী বর্তমানে তার পিতার বাড়ি দামপাড়ায় অবস্থান করছেন।

এদিকে করোনা ভাইরাস শনাক্তের এই ঘটনায় সাতকানিয়ার পুরানগড় ইউনিয়নের কতোটুকু এলাকা লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের দামপাড়া এলাকায় একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ওই রোগীর হিস্ট্রিতে বিদেশ যাতায়াত ও বিদেশ ফেরত কারো সংষ্পর্শে আসার তথ্য নেই বলে জানালেও পরে জানা যায় বৃদ্ধের মেয়ে ও তার শাশুড়ি সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে ওমরাহ পালন করে ফিরেছেন।

এর মধ্যে জানা যায়, করোনা ‘পজিটিভ’ দামপাড়ার ওই বৃদ্ধের মেয়ের বাড়ি সাতকানিয়ার পুরানগড় ইউনিয়নে। সৌদি আরব থেকে ফিরে মেয়ে দামপাড়ায় পিতার বাড়িতে চলে গেলেও মেয়ের শাশুড়ি বর্তমানে সাতকানিয়ার পুরানগড়ে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এই তথ্য জানার পর নড়েচড়ে বসে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন। ওই এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর এ আলম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে এর মধ্যে পুরানগড়ের পথে রওনা দিয়েছেন তিনি।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস আক্রান্ত বৃদ্ধের মেয়ে এবং মেয়ের শ্বাশুড়ি ১২ মার্চ সৌদি থেকে ওমরা করে দেশে ফেরেন। মেয়ের স্বামী নিজেই সৌদিআরব প্রবাসী। ১২ মার্চ মেয়ের শ্বাশুড়ি গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া যাওয়ার পথে বেয়াইয়ের বাড়ি তথা দামপাড়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। বিশ্রাম শেষে যে গাড়িতে বিমানবন্দর থেকে এসেছিলেন সেই গাড়িতেই সাতকানিয়া চলে যান। তবে বাপের বাড়ি থেকে যান বিদেশ ফেরত ওই মেয়ে এবং তিনি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত দামপাড়াতে রয়েছেন।’

করোনা শনাক্ত হওয়া বৃদ্ধ ও তার পরিবার শুরু থেকেই বিদেশফেরত কারও সংস্পর্শের বিষয়টি গোপন করেছেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর একে একে প্রকাশ হয় বিদেশফেরত হিস্ট্রি। এরই প্রেক্ষিতে বিগত কয়েকদিনে তারা যেসব ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন সবার করোনা টেস্ট করা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নূর-এ-আলম বলেন, ‘আমরা পুরানগড় যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঠিক করবো কতটুকু এলাকা লকডাউন করবো। এখনও পথে রয়েছি আমরা।’

এআরটি/এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!