মধ্যরাতের বন্দুকযুদ্ধে সোহেল হত্যার আসামি জাবেদ নিহত

মধ্যরাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যামামলার অন্যতম আসামি জাবেদ নিহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগ্রাবাদ কৃষি অফিসের পেছনে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সংঘটিত হয়।

মধ্যরাতের বন্দুকযুদ্ধে সোহেল হত্যার আসামি জাবেদ নিহত 1
নিহত জাবেদ

পুলিশের দাবি, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারে সংঘবদ্ধ হামলায় নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যামামলার অন্যতম আসামি এই জাবেদ।

এ বিষয়ে সিএমপি ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার মো. আশিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নিহত জাবেদ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যামামলার এজাহারভুক্ত আসামি। জাবেদের নেতৃত্বে কয়েকজন ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় ডবলমুরিং থানার ওসির হাত ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি পিস্তল, একটি এলজি, একটি থ্রি কোয়ার্টার বন্দুক, দুটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি এবং একটি ছুরি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ওসি সদীপ কুমার দাশ ছাড়া অন্যরা হলেন এসআই অর্নব, এএসআই মিঠু ও কনস্টেবল আলামিন। এ ঘটনায় অন্তত তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

oc-sadip-kumar-das
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ কুমার দাশ

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে কতিপয় ডাকাত আগ্রাবাদ কৃষি অফিসের পিছনে অবস্থান করছে এবং ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা তাদের ঘেরাও করলে ওরা গুলি ছুঁড়ে। এতে আমার বাম হাত ও ডান পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া জানান, গুলিবিদ্ধ জাবেদকে রাত সোয়া একটায় হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন সোহেল হত্যার ঘটনায় শুরুতে জাবেদের নাম তেমন আলোচনায় না আসলেও বিভিন্ন আসামি ও প্রত্যক্ষদর্শীর স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে মহিউদ্দিন সোহেলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের পেছনে জাবেদের ছিল সক্রিয় ভূমিকা। পাহাড়তলী রেল কোয়ার্টারের একটি বাসা থেকে মহিউদ্দিন সোহেলকে মারতে মারতে পাহাড়তলী বাজারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও রাসেল মির্জা, জুয়েল মির্জা, টেডি দিদার, মনার পাশাপাশি মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন এই জাবেদ।

arms
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র

গত ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে খুন হন সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল। চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলা হয়েছে বলে প্রচার হলেও পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হত্যামামলায় তা ভিন্ন মোড় নেয়। সোহেলের ছোট ভাই শিশির বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমেদকে। এছাড়া জাতীয় পার্টির নেতা ও বাজার কমিটির সদস্য ওসমান খানসহ ২৭ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও দেড়শো জনকে আসামি করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!