মদে ব্যাটারির পানি মিশিয়ে হত্যা করা হয় দোকানিকে, অভিযোগ পরিবারের

ব্যাটারির পানি মিশ্রিত মদ খাইয়ে জহিরকে হত্যা করা হয়। তার হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কক্সবাজারের উখিয়ায় রত্নাপালংয়ের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বায়তুশ শরফ এলাকায় জহির নামের ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। থানা অস্বাভাবিক মৃত্যু বললেও এটিকে পরিকল্পিত খুন বলছেন নিহত জহিরের স্বজনরা। স্বজনরা বলছেন— এলাকার রাজাপালং হিজলিয়ার নবী সুলতানের ছেলে রায়হান, জাফর আলমের ছেলে কামাল ড্রাইভার ও সিদ্দিক মিকারের ছেলে সাইফুলই জহিরের হত্যাকারী। গত ৩ জুন রাতে মদ খাওয়ার পর ১২ দিন অসুস্থ থেকে গত ১৫ জুন জহিরের মৃত্যু হয়। পরিবারের কাছে হত্যা নিয়ে মৃত্যুকালীন ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।

সরেজমিনে গেলে নিহতের পরিবার জানায়, গত ৩ জুন রাতে রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামের নবী সুলতানের ছেলে রায়হান মদ্যপ অবস্থায় জহিরের দোকানে আসে এবং বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় জহির আহমদের সাথে ঝগড়া করে। ওই সময় রায়হান ফোনে অপর প্রান্তে এক ব্যক্তিকে ফোন করে জহির আহমদকে দেখে নেওয়ার কথা বলে চলে যায়। একই দিন রায়হানের নেতৃত্বে সিএনজি ড্রাইভার কামাল ও ভিডিও সাইফুল কৌশলে জহির আহমদকে মদের সাথে ব্যাটারির পানি মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর জহির অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এরপর ১২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ব্যবসায়ী জহির আহমদ গত ১৫ জুন (সোমবার) সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানান তার স্ত্রী রোকেয়া।

নিহত জহিরের ছেলে মো. রায়হান বলেন, আমার বাবা জহির আহমদ দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার পালং গার্ডেন নামক স্থানে একটি দোকান পরিচালনা করতেন। মৃত্যুর আগের দিন তাকে পাশে বসিয়ে মানুষের সাথে লেনদেনের সমস্ত কিছু আমাকে বুঝিয়েও দিয়েছেন। রাজাপালং হিজলিয়ার নবী সুলতানের ছেলে রায়হান, জাফর আলমের ছেলে কামাল ড্রাইভার ও সিদ্দিক মিকারের ছেলে সাইফুল মিলে কৌশলে মদের সাথে ব্যাটারির পানি মিশিয়ে খাওয়ানোর কথা বাবাই আমাকে তার মৃত্যুর আগে বলেছেন।

নিহতের পারিবারিক এবং স্থানীয়সূত্রের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এদিকে জহিরের মৃত্যু পরবর্তী উখিয়ায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে নিয়ে গেলে ওসি কীসের মামলা বলে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন বলে জানান নিহতের চাচাত ভাই জাহেদুল ইসলাম খোকন।

প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে জহির আহমদের লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেছি। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার মর্জিনা আকতার বলেন, ‘এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। তবে স্বজনদের অভিযোগের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!