ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ : এখনো আতংকে দিন কাটছে অরক্ষিত উপকূলবাসী

এহসান আল কুতুবী :
আজ ভয়াল ২৯ এপ্রিল। ১৯৯১ সালের এ দিনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে ২৫০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানে প্রচন্ড শক্তিধর ঘূর্ণিঝড়। দেখতে দেখতে ২৫ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো বেঁিড়বাধ পুরোপুরি নির্মাণ হয়নি। ফলে আতংকে ও নতুন বেঁিড়বাধের স্বপ্নে আশা ও প্রতীক্ষার দিন কাটছে উপকুলের বঞ্চিত জনগোষ্ঠী।
লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ব্যাপক ধ্বংসলীলা ঘটে এ অঞ্চলে। ঘূর্ণিঝড় ও ৬ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়। এসময় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত ছাড়াও ঘর বাড়ি, গরু ছাগলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে বেশীর ভাগই হয় উপকূলীয় আনোয়ারা, বাশঁখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, হাতিয়া, সন্দীপ ও কক্সবাজার সদরে।
এর মধ্যে উপকূলীয় চকরিয়া ও পেকুয়ায় মারা যায় ২৫ হাজার শিশুসহ নারী-পুরুষ। সেই ভয়াল রাতের পর কেটে গেছে ২৫টি বছর। এখনো উপকূলবাসীকে সেদিনের প্রলয়ংকারী ঘটনা দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায়। তাদের সামনে ভেসে উঠে হাজার হাজার লাশ আর ধ্বংসস্তুপের ছবি। এদিনটি উপলক্ষে উপকূলীয় উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, প্রজন্ম চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সমিতি ঢাকা, সন্দীপ সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ২৫ বছর পরও উপকূলীয় এলাকা এখনো অরক্ষিত। সেই ভয়াল দিনটির পর উপকূলবাসীকে ভবিষ্যত ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করতে দেশীয় ও সৌদি অর্থায়নে কক্সবাজারের শতাধিকসহ চট্টগ্রাম উপকূলে অপর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়। অযতœ-অবহেলায় ওইসব সাইক্লোন সেল্টারসমূহ সিংহভাগই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। এছাড়া চকরিয়া-পেকুয়ার ১২০ কিলোমিটারসহ চট্টগ্রাম উপকূলে নির্মিত বেড়িবাঁধে প্রায় সাড়ে ৩’শ কিলোমিটার খানা-খন্দক ও ভেঙ্গে অরক্ষিত হয়ে পড়ায় উপকূলের অন্তত ১০ লাখ মানুষ অতি ঝুঁকিতে রয়েছে।
কুতুবদিয়া দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আযাদ জানান, ভয়াল ২৯ এপ্রিলের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে এই ইউনিয়নের অর্ধেক অংশ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যায়। এখনো স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মিত না হওয়ায় বৈশাখ শুরুতেই মানুষ এলাকা ছাড়তে শুরু করেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!