ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সাত বস্তি পুড়ে ছাঁই : মা মেয়ের মৃত্যু

প্রতিদিন রিপোর্ট ::

চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় ভয়াভহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে সাতটি বস্তিঘর। এ ঘটনায় তিন বছরের শিশু মারজানা ও তার মা ফাতেমা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।

20160911_060017

 

রবিবার দিবাগত  রাত ৩ টার সময় দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ইপিজেড থানার কলসি দিঘির পাড় পুরাতন রেল লাইন সংলগ্ন বস্তিকলোনীতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্যরাতে হঠাৎ করে রেললাইনের দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ভয়াবহ আগুনের লেলিহানে দাউ দাউ করে জলতে থাকে বস্তির ঘরগুলো। এ সময় অধিকাংশ মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো। রেল লাইনের পাশে ঘন বসতি হওয়ায় নিমিষেই আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাতটি বস্তির পাঁচ শতাধিক ভাড়াঘর দোকান পাট ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাই।

20160911_065043

 

 

স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে আগ্রাবাদ বন্দর ইপিজেড থানার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ৫ ইউনিটের ১০টি গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ৭ টার সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা আগুনে পুড়ে যাওয়া টিনের স্ক্রুপ থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে। লাশগুলো পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

 

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক কামাল উদ্দিন ভূইয়া জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে প্রায় ৪ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের সূত্রপাত সুনির্দিষ্ট ভাবে জানাতে না পারলেও তিনি ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে।

 

তিনি জানান সকাল ৭ টার সময় অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া টিনসেট ঘর থেকে মা ফাতেমা বেগম (২৭) ও তার শিশু সন্তান মারজানা (৩ ‘র লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ঘটনা স্থল থেকে আহত আরো দশজনকে উদ্ধার করে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

20160911_055011

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অগ্নি দূর্গতরা অধিকাংশ গার্মেন্টেসর নিম্ন আয়ের শ্রমিক। এরা ২ থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে এ সকল ঝুপড়ি ঘরে ভাড়া থাকতো । পুরো এলাকা জুড়ে চলছে শোকের মাতম। ঘটনার পড়ে ৫ শতাধিক পরিবার সর্বত্র হারিয়ে আহাজারি করছে। নিহত ফাতেমার স্বামী মিজান স্ত্রী ও সন্তানকে হারিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ঘটনার আশপাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

 

 

 

৩৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নি দূর্গতরা সকল প্রকার সাহায্যে সহযোগিতা ও উদ্ধার কর্মীদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

 

ইপিজেড থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম মুঠোফোনে জানান বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এই ভয়াবহ আগুনের সুত্রপাত। ঘটনাস্থলে ইপিজেড থানা পুলিশ সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

 

রিপোর্ট  আমিনুল হক শাহীন

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!