ভয়ঙ্কররূপে করোনা, চট্টগ্রামে ৩ মৃত্যুর দিনে শনাক্ত বেড়ে ১৩৪৮

ক্রমশ আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি। আগেরদিন শনাক্ত কম থাকার পাশাপাশি কোন মৃত্যুও ছিল না করোনায়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পুরোপুরি পাল্টে যায় করোনার চিত্র। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৪৮ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৯১৯ জন নগরের এবং ৪২৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামের মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জনে। এর মধ্যে নগরে ৮২ হাজার ৭৮০ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩০ হাজার ৬৮০ জন।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রামের ১৫টি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ৩ হাজার ৬৮৯ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৪৮ জনের। পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার প্রায় ৩৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আবার

তিনি আরও বলেন, ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৫১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ২৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্টে ৩১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরনে ৯২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আরটিএলে ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতালে ১১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, ল্যাব এইড এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৪২৯ জনের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বাধিক ৫৯ জন রয়েছেন। এছাড়া, হাটহাজারীতে ৫০ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৪১ জন, রাউজান ও মিরসরাইয়ে ৪০ জন করে, পটিয়ায় ৩৮ জন, বোয়ালখালীতে ৩৪ জন, আনোয়ারায় ৩০ জন, চন্দনাইশে ২১ জন, লোহাগাড়ায় ১৮ জন, সীতাকুণ্ডে ১৭ জন, সাতকানিয়ায় ১৬ জন, বাঁশখালী ১৩ জন এবং সন্দ্বীপে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!